সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরে আয়োজনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, এই দাবিতে দলটি আন্দোলনে থাকবে এবং তা চলমান থাকবে যতদিন না একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন আমাদের চলমান। এটা নতুন কিছু না—ঈদের আগে বা পরে, বর্ষার আগে বা পরে বলারও দরকার নাই। ১৭ বছর ধরে আমরা এই দাবিতে আন্দোলন করছি।”
গয়েশ্বর বলেন, “এখন এই দাবির ‘শেষ’ দেখতে চাই। এমন একটি নির্বাচন দেখতে চাই যেখানে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলনে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার বলছে এপ্রিল মাসে নির্বাচন হবে, কিন্তু ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে সমস্যা কোথায়? যদি এপ্রিলেও নির্বাচন হয়, তাহলে সেই সমস্যাগুলো কি তখন থাকবে না?”
নির্বাচন ইস্যুকে মূল এজেন্ডা থেকে সরিয়ে সরকার একটি অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, “এই সরকারকে জনগণ আস্থা দিতে পারছে না যে তারা সত্যিই ক্ষমতা হস্তান্তরে আন্তরিক। নির্বাচন নিয়ে সরকারকে সততার প্রমাণ দিতে হবে—‘Government is very much sincere to hand over power through proper election’।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি নিজের জন্য না, জনগণের দাবির পক্ষে আন্দোলন করছে। এই দাবি জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবি। তাই এখানে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, এবং এ সংকট শুধুমাত্র সরকারের তৈরি।”
সরকারের প্রতি সরাসরি অভিযোগ করে গয়েশ্বর বলেন, “সরকারের মধ্যে ইগো প্রবণতা (অহংকার) রয়েছে। তারা মনে করে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতেই দেওয়া যাবে না। যদি এই ইগো সমস্যা না থাকে, তাহলে একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সমাধানে আসা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “সরকারকে বুঝতে হবে যে, এই দেশ শুধু একদলীয় চিন্তাভাবনায় চলবে না। জনগণের ইচ্ছা এবং মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে হলে বিনাপ্রশ্নে, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।”