ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র থেকে পর্যটকদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ, ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়লেন অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র থেকে ঈদের ছুটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার (৮ জুন), কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চরারবাজার এলাকার ‘উৎমাছড়া’ পর্যটনকেন্দ্রে।

ঘটনার সময়কার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, একদল ব্যক্তি ঈদ উদযাপনরত পর্যটকদের স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করছেন। ভিডিওতে তাদের হুমকি ও জোর প্রয়োগের ইঙ্গিত স্পষ্ট হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও বিতর্কের জন্ম দেয়।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে প্রতিক্রিয়া জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল। তিনি ফেসবুকে লিখেন:

> “‘বিদেশ’ সেন্টমার্টিন যেতে তো বছরখানেক ধরেই ‘পাসপোর্ট-ভিসা’ লাগছে। এখন দেশের ভেতরে সিলেটে বেড়াতে গেলেও লাগবে রুট/ট্যুর পারমিট। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের এই নয়া বন্দোবস্ত নিয়ে কথায় কথায় থিসিস লেখা তাত্ত্বিকদের কোনো বক্তব্য দেখেছেন কেউ?”

 

অধ্যাপক বকুলের এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকে তার সাথে একমত প্রকাশ করে মন্তব্য করছেন, দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের পথে এটি একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, “একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে নাগরিকের ভ্রমণ-স্বাধীনতায় কীভাবে বাধা আসতে পারে?”

জনপ্রিয় সংবাদ

আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত বিমানের একজন ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র থেকে পর্যটকদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ, ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়লেন অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল

আপডেট সময় ১১:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র থেকে ঈদের ছুটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার (৮ জুন), কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চরারবাজার এলাকার ‘উৎমাছড়া’ পর্যটনকেন্দ্রে।

ঘটনার সময়কার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, একদল ব্যক্তি ঈদ উদযাপনরত পর্যটকদের স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করছেন। ভিডিওতে তাদের হুমকি ও জোর প্রয়োগের ইঙ্গিত স্পষ্ট হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও বিতর্কের জন্ম দেয়।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে প্রতিক্রিয়া জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল। তিনি ফেসবুকে লিখেন:

> “‘বিদেশ’ সেন্টমার্টিন যেতে তো বছরখানেক ধরেই ‘পাসপোর্ট-ভিসা’ লাগছে। এখন দেশের ভেতরে সিলেটে বেড়াতে গেলেও লাগবে রুট/ট্যুর পারমিট। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের এই নয়া বন্দোবস্ত নিয়ে কথায় কথায় থিসিস লেখা তাত্ত্বিকদের কোনো বক্তব্য দেখেছেন কেউ?”

 

অধ্যাপক বকুলের এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকে তার সাথে একমত প্রকাশ করে মন্তব্য করছেন, দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের পথে এটি একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, “একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে নাগরিকের ভ্রমণ-স্বাধীনতায় কীভাবে বাধা আসতে পারে?”