ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন ও মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাসহ একাধিক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তানভির রনি।
ঘটনার শিকার ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শাহ আসাদুজ্জামান। বর্তমানে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার বাদেডিহী এলাকায় বসবাস করছেন। তার স্ত্রীর ভাই মো. সৌরভ বাদী হয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এতে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ১১ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাদুরগাছা গ্রামের সবুজ ও বাদেডিহী গ্রামের আঃ করিম তাকে বাড়ির সামনে থেকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় ঠিকডাঙ্গা দাসপাড়া মাঠে। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শরিফুল, তানভির রনি, রিয়াজ, স্বপন, ইয়াসিন ও হামিদ ড্রাইভারসহ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি।
অপহরণের পর তাকে মারধর করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবার রাতেই বিকাশের মাধ্যমে ছয়টি নম্বরে মুক্তিপণের টাকা পাঠায়, যা পরে ‘বিকে স্টোর’ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা হয়। টাকা পাওয়ার পর রাতেই তাকে ফেলে রেখে চলে যায় অপহরণকারীরা এবং কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত তানভির রনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ভুক্তভোগী একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি। তিনি ফরিদপুর আওয়ামী লীগের ক্যাডার বলেও দাবি করেন রনি। ঘটনার সময় তিনি যশোরে ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক বলেন, “তানভির রনি আমাদের সহ-সভাপতি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, অভিযোগটি তদন্তে বারোবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাকারিয়া মাসুদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিকাশ নম্বর যাচাই করা হচ্ছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বারোবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাকারিয়া মাসুদ বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”