ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারগণ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।

রোববার (২২ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। মামলাটি রুজু হয় শেরেবাংলা নগর থানায়, যার নম্বর-১১।

মামলার প্রধান আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, কে. এম. নুরুল হুদা এবং বর্তমান কমিশনের প্রধান কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়াও আসামির তালিকায় আছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র‍্যাবের সাবেক ডিজি, এনএসআই, ডিজিএফআই ও এসবির সাবেক প্রধানগণ এবং কয়েকজন অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তাও।

মামলার বাদী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, “তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন শেখ হাসিনা। কমিশনের নিরপেক্ষ থাকার কথা থাকলেও তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহায়তায় প্রহসনের নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন।”

তিনি বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও নির্বাচন কমিশন জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সংবিধান লঙ্ঘন করে নির্বাচন পরিচালনা করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আলামতসহ ছায়ালিপি আজ থানায় জমা দিয়েছি।”

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক জানান, “মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ভোটারদের ভয়ভীতি ও প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন। তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৮ সালে নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিল, তবে কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি করেছে দলটি।

মামলার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে আইনি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)-এর বিক্ষোভ

তিন জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারগণ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।

রোববার (২২ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। মামলাটি রুজু হয় শেরেবাংলা নগর থানায়, যার নম্বর-১১।

মামলার প্রধান আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, কে. এম. নুরুল হুদা এবং বর্তমান কমিশনের প্রধান কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়াও আসামির তালিকায় আছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র‍্যাবের সাবেক ডিজি, এনএসআই, ডিজিএফআই ও এসবির সাবেক প্রধানগণ এবং কয়েকজন অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তাও।

মামলার বাদী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, “তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন শেখ হাসিনা। কমিশনের নিরপেক্ষ থাকার কথা থাকলেও তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহায়তায় প্রহসনের নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন।”

তিনি বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও নির্বাচন কমিশন জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সংবিধান লঙ্ঘন করে নির্বাচন পরিচালনা করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আলামতসহ ছায়ালিপি আজ থানায় জমা দিয়েছি।”

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক জানান, “মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ভোটারদের ভয়ভীতি ও প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন। তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৮ সালে নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিল, তবে কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি করেছে দলটি।

মামলার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে আইনি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।