ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঋতুপর্ণার অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়ে রিজভীর মন্তব্য: “এই উন্নয়ন দেখতে হলে পাহাড়ে আসতে হয়”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • ৫৮২ বার পড়া হয়েছে

“বিগত ১৭ বছরে শেখ হাসিনা সরকার যে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়েছে, তা দেখতে হলে এই পাহাড়ে আসতে হবে”—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (৯ জুলাই) বৈরী আবহাওয়া ও প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও পার্বত্য রাঙামাটির দুর্গম এলাকায় জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোল্ডেন গার্ল ঋতুপর্ণা চাকমার অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “আমরা ঋতুপর্ণার বাড়িতে এসেছি। এখানে এখনো উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি—না আছে রাস্তাঘাট, না কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা। এটি বাংলাদেশেরই অংশ, অথচ মনে হয় যেন বাইরে কোনো পরিত্যক্ত এলাকা।”

তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকায় একটি পদ্মা সেতু ও কিছু ফ্লাইওভার দেখিয়ে গত ১৭ বছরে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। নিজের আখের গুছিয়েছে, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করেনি।”

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার হেলাল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান উম্মন, সদস্য সচিব মোঃ মিথুন, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

রিজভী অভিযোগ করেন, “নির্বাচন নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু হয়েছে, পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষই ঠিক করবে কে ক্ষমতায় আসবে। তাদের ভোটাধিকার খর্ব করা যাবে না।”

ঋতুপর্ণার অসুস্থ মা ভুজিপুতি চাকমার চিকিৎসা খরচ বহনের ঘোষণা দিয়ে রিজভী বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন সব ধরনের সহায়তা দিতে। প্রতি মাসে যেসব কেমো থেরাপি লাগে, তার খরচ আমরা বহন করবো।”

এ সময় বিএনপি পরিবার ও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ভুজিপুতি চাকমার হাতে ২ লক্ষ টাকার সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

ভুজিপুতি চাকমা বলেন, “আমার ভাঙা ঘরে এসে সহানুভূতি দেখানোর জন্য বিএনপি পরিবার ও তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।”

উল্লেখ্য, পাহাড়ের কৃতী কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা সম্প্রতি তার জোড়া গোলে এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে জায়গা করে দিতে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে তার মা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচলো মা-নবজাতকের

ঋতুপর্ণার অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়ে রিজভীর মন্তব্য: “এই উন্নয়ন দেখতে হলে পাহাড়ে আসতে হয়”

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

“বিগত ১৭ বছরে শেখ হাসিনা সরকার যে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়েছে, তা দেখতে হলে এই পাহাড়ে আসতে হবে”—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (৯ জুলাই) বৈরী আবহাওয়া ও প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও পার্বত্য রাঙামাটির দুর্গম এলাকায় জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোল্ডেন গার্ল ঋতুপর্ণা চাকমার অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “আমরা ঋতুপর্ণার বাড়িতে এসেছি। এখানে এখনো উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি—না আছে রাস্তাঘাট, না কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা। এটি বাংলাদেশেরই অংশ, অথচ মনে হয় যেন বাইরে কোনো পরিত্যক্ত এলাকা।”

তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকায় একটি পদ্মা সেতু ও কিছু ফ্লাইওভার দেখিয়ে গত ১৭ বছরে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। নিজের আখের গুছিয়েছে, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করেনি।”

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার হেলাল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান উম্মন, সদস্য সচিব মোঃ মিথুন, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

রিজভী অভিযোগ করেন, “নির্বাচন নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু হয়েছে, পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষই ঠিক করবে কে ক্ষমতায় আসবে। তাদের ভোটাধিকার খর্ব করা যাবে না।”

ঋতুপর্ণার অসুস্থ মা ভুজিপুতি চাকমার চিকিৎসা খরচ বহনের ঘোষণা দিয়ে রিজভী বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন সব ধরনের সহায়তা দিতে। প্রতি মাসে যেসব কেমো থেরাপি লাগে, তার খরচ আমরা বহন করবো।”

এ সময় বিএনপি পরিবার ও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ভুজিপুতি চাকমার হাতে ২ লক্ষ টাকার সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

ভুজিপুতি চাকমা বলেন, “আমার ভাঙা ঘরে এসে সহানুভূতি দেখানোর জন্য বিএনপি পরিবার ও তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।”

উল্লেখ্য, পাহাড়ের কৃতী কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা সম্প্রতি তার জোড়া গোলে এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে জায়গা করে দিতে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে তার মা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।