ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাঙ্গলকোটের ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসিতে ৩২ জনের সবাই ফেল, সমালোচনার ঝড়

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৬০৬ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নাঙ্গলকোট উপজেলার ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। বিদ্যালয়টির ৩২ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই কুমিল্লা জেলায় এই ব্যতিক্রমী ব্যর্থতার ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ১,৭৯৯টি স্কুলের মধ্যে এটি অন্যতম চরম ব্যর্থতাপূর্ণ ফলাফল বলে গণ্য হচ্ছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ মজুমদার স্বপন স্থানীয়ভাবে পরিচিত একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, “প্রধান শিক্ষক সারা দিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে ঘোরাঘুরি করেন, প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতেই বেশি সময় ব্যয় করেন। অথচ শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর কোনো মনোযোগ নেই। ফলে এই ভয়াবহ ফলাফলের দায় তাঁর কাঁধে বর্তায়। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহি চাই।”

স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ মজুমদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিদ্যালয়ে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার হোসেন নয়ন বলেন, “আমি মাত্র ২০–২৫ দিন আগে সভাপতি হয়েছি। এখনো বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারিনি। তবে ফলাফল নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন এবং শিক্ষক, প্রতিষ্ঠাতা ও অভিভাবকদের সঙ্গে বসে খারাপ ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করব।”

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার করবে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান

নাঙ্গলকোটের ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসিতে ৩২ জনের সবাই ফেল, সমালোচনার ঝড়

আপডেট সময় ০৯:৫০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নাঙ্গলকোট উপজেলার ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। বিদ্যালয়টির ৩২ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই কুমিল্লা জেলায় এই ব্যতিক্রমী ব্যর্থতার ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ১,৭৯৯টি স্কুলের মধ্যে এটি অন্যতম চরম ব্যর্থতাপূর্ণ ফলাফল বলে গণ্য হচ্ছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ মজুমদার স্বপন স্থানীয়ভাবে পরিচিত একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, “প্রধান শিক্ষক সারা দিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে ঘোরাঘুরি করেন, প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতেই বেশি সময় ব্যয় করেন। অথচ শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর কোনো মনোযোগ নেই। ফলে এই ভয়াবহ ফলাফলের দায় তাঁর কাঁধে বর্তায়। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহি চাই।”

স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ মজুমদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিদ্যালয়ে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার হোসেন নয়ন বলেন, “আমি মাত্র ২০–২৫ দিন আগে সভাপতি হয়েছি। এখনো বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারিনি। তবে ফলাফল নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন এবং শিক্ষক, প্রতিষ্ঠাতা ও অভিভাবকদের সঙ্গে বসে খারাপ ফলাফলের কারণ অনুসন্ধান করব।”