ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিটফোর্ড হ’ত্যাকা’ণ্ডে জড়ি’তদের শা’স্তির দা’বি বিএনপি মহাসচিবের: ‘নি’র্বাচনহী’নতার ফলেই আই’নশৃঙ্খলার অ’বনতি….’

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন না থাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, দুবৃর্ত্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সরকারকে দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার বিকেলে গুলশানের হোটেল লেকশোরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মির্জা ফখরুল বলেন, “যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি—অতিদ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায়, জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না। জাতিকে এই অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার জন্য সরকারকেই দায়ী করবে।”

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে কেবল বাকস্বাধীনতা নয়, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোও জরুরি। “নির্বাচন না থাকার কারণেই আজ দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্বৃত্তায়নের এমন বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

বিএনপি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি দাবি করে ফখরুল বলেন, “আমরা অতীতেও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি, এবারও করব। দলের কর্মীদের প্রতি আহ্বান থাকবে—কেউ যেন কোনো অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত না হয়। আমাদের সংগ্রাম কেবল ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে এখন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে, তাদের পেছনে জনগণের কোনো সমর্থন নেই। এজন্যই তারা দুর্বল ও জবাবদিহিহীন, ফলে প্রশাসনের হাত খুলে গেছে, অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্র কাঠামোর আমূল পরিবর্তন করে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে চাই, যার প্রথম ধাপ একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। এই আন্দোলন সেই লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।”

ছাত্রদলের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল দলীয় শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জানান এবং বলেন, “আপনাদের এই ত্যাগ বৃথা যাবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই ত্যাগই প্রেরণা হয়ে থাকবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।

জনপ্রিয় সংবাদ

মিটফোর্ড হ’ত্যাকা’ণ্ডে জড়ি’তদের শা’স্তির দা’বি বিএনপি মহাসচিবের: ‘নি’র্বাচনহী’নতার ফলেই আই’নশৃঙ্খলার অ’বনতি….’

মিটফোর্ড হ’ত্যাকা’ণ্ডে জড়ি’তদের শা’স্তির দা’বি বিএনপি মহাসচিবের: ‘নি’র্বাচনহী’নতার ফলেই আই’নশৃঙ্খলার অ’বনতি….’

আপডেট সময় ১২:১১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন না থাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, দুবৃর্ত্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সরকারকে দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার বিকেলে গুলশানের হোটেল লেকশোরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মির্জা ফখরুল বলেন, “যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি—অতিদ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায়, জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না। জাতিকে এই অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার জন্য সরকারকেই দায়ী করবে।”

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে কেবল বাকস্বাধীনতা নয়, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোও জরুরি। “নির্বাচন না থাকার কারণেই আজ দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্বৃত্তায়নের এমন বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

বিএনপি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি দাবি করে ফখরুল বলেন, “আমরা অতীতেও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি, এবারও করব। দলের কর্মীদের প্রতি আহ্বান থাকবে—কেউ যেন কোনো অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত না হয়। আমাদের সংগ্রাম কেবল ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে এখন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে, তাদের পেছনে জনগণের কোনো সমর্থন নেই। এজন্যই তারা দুর্বল ও জবাবদিহিহীন, ফলে প্রশাসনের হাত খুলে গেছে, অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্র কাঠামোর আমূল পরিবর্তন করে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে চাই, যার প্রথম ধাপ একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। এই আন্দোলন সেই লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।”

ছাত্রদলের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল দলীয় শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জানান এবং বলেন, “আপনাদের এই ত্যাগ বৃথা যাবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই ত্যাগই প্রেরণা হয়ে থাকবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।