বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়, যাতে জনতার ঢল নেমে আসে।
একইসঙ্গে সমাবেশ থেকে মিটফোর্ডে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বক্তারা অভিযোগ করেন, একটি গুপ্ত সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ‘মব কালচার’ তৈরি করছে, যা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েই অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে শান্ত রাখা হয়েছে, যদিও তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে কোনো অস্থিরতা তৈরি করে ছাত্রসমাজকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা হলে, তার দায় ওই গুপ্ত সংগঠনকেই নিতে হবে।
রাকিব বলেন, ‘গুটিকয়েক শিক্ষার্থী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ও সম্মানের অবমাননা করেছে, কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পক্ষে অবস্থান নেয়নি।’ তিনি দাবি করেন, ছাত্রসমাজ বুঝতে পেরেছে যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বে তারেক রহমান অপরিহার্য, এবং এজন্যই তারা ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয়নি।