ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় মা ও দুই সন্তান হত্যার প্রধান আসামি নজরুল গ্রেপ্তার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ৫৭৩ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।

সোমবার ভালুকা পৌর শহরের পনাশাইল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার (২৫), মেয়ে রাইসা আক্তার (৭) ও ছেলে নীরব হোসেনের (২) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই রফিকুলের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।

রাতে নিহত ময়নার বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা এবং ভালুকার রাসেল স্পিনিং মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার রাতে তিনি ডিউটিতে ছিলেন। সোমবার সকালে বাসায় ফিরে তালাবদ্ধ দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্ত্রীর ও দুই সন্তানের নিথর মরদেহ দেখতে পান।

রফিকুল জানান, নজরুল আগে একটি হত্যা মামলায় জেল খেটেছেন। আড়াই মাস আগে ৪০ হাজার টাকা ধার করে তাকে জামিনে মুক্ত করেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই একসঙ্গে বসবাস করছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে এনসিপি সমাবেশ কেন্দ্র করে দিনভর সংঘর্ষ, নিহত ৪ – শহরে কারফিউ, সেনা মোতায়েন

ভালুকায় মা ও দুই সন্তান হত্যার প্রধান আসামি নজরুল গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৯:০১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।

সোমবার ভালুকা পৌর শহরের পনাশাইল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার (২৫), মেয়ে রাইসা আক্তার (৭) ও ছেলে নীরব হোসেনের (২) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই রফিকুলের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।

রাতে নিহত ময়নার বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা এবং ভালুকার রাসেল স্পিনিং মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার রাতে তিনি ডিউটিতে ছিলেন। সোমবার সকালে বাসায় ফিরে তালাবদ্ধ দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্ত্রীর ও দুই সন্তানের নিথর মরদেহ দেখতে পান।

রফিকুল জানান, নজরুল আগে একটি হত্যা মামলায় জেল খেটেছেন। আড়াই মাস আগে ৪০ হাজার টাকা ধার করে তাকে জামিনে মুক্ত করেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই একসঙ্গে বসবাস করছিলেন।