রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এবং ফেসবুকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান ও সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ ও দূতাবাসগুলো এ শোক প্রকাশ করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্সে বলেন, “ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় তরুণ প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। বাংলাদেশের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি এবং সম্ভাব্য সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, “এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা। পাকিস্তান এ সময়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।”
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারও শোকবার্তায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এক বিবৃতিতে জানায়, “এই দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছি।”
জাপান দূতাবাসের পক্ষ থেকেও অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নাওকি তাকাহাশি বলেন, “এই দুঃসময়ে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। আহতদের আরোগ্য কামনা করছি। সদ্য এই স্কুলে জাইকার সঙ্গে যৌথভাবে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছিল, যা আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করে।”
সুইজারল্যান্ড দূতাবাস জানায়, “একটি স্কুল ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়া হৃদয়বিদারক। নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি।”
এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম দুর্ঘটনার সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন যেন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় না পড়ে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিমানটি দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় বৈমানিকসহ মোট ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।