রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের আমুর অঞ্চলে ৪৮ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হওয়া একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ অবশেষে খুঁজে পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। ব্লাগোভেশচেনস্ক থেকে উড্ডয়ন করা আঙ্গারা এয়ারলাইন্সের আন্তোনভ AN-24 বিমানটি টাইন্ডা বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে, একটি পাহাড়ঘেরা ঘন বনভূমিতে বিমানটির পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান উদ্ধারকারীরা।
বিমানটিতে ৪২ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন শিশু ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগের একটি হেলিকপ্টার ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ প্রথম শনাক্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত ফুটেজে দেখা গেছে, বনভূমির মাঝে বিমানটির বিভিন্ন অংশ জ্বলছে। প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হচ্ছে, এ দুর্ঘটনায় কেউই বেঁচে নেই।
বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হলো, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জরুরি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়া, পাইলটের ভুল কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটি—সব দিক থেকেই তদন্ত চলছে। এই বিমান মডেলটি প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো এবং অতীতে এর নানা রকম দুর্ঘটনার রেকর্ড রয়েছে। ২০১৯ সালে এ ধরনের আরেকটি বিমান নিজনিয়াঙ্গারস্কে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে দুই ক্রু নিহত হন। ২০১১ সালে সাইবেরিয়ার ওব নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয় সাতজন।
এই সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা রাশিয়ার জন্য এক গভীর মানবিক বিপর্যয়, যেখানে পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের খোঁজে অপেক্ষায় আর গোটা দেশ এক অনিশ্চয়তা ও শোকের মধ্যে রয়েছে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকলেও, বিমানটির আরোহীদের জীবিত ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।