ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত ওহির মা প্রিয়া, উত্তরার সেই বিভীষিকায় নিভে গেল আরও এক জীবনের আলো”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • ৫৮৪ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আফসান ওহির ‘মা’কে খুঁজে পাওয়া গেছে—তবে জীবিত নয়, মৃত। উত্তরার মর্মান্তিক বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিথর হয়ে যাওয়া শত জীবনের একটিই আফসানা আক্তার প্রিয়া। যিনি ছিলেন ছোট্ট ওহির প্রিয়তমা মা।

ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আজ বুধবার (২৩ জুলাই) প্রিয়ার পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আগুনে পুড়ে অচেনা হয়ে যাওয়া পাঁচটি অজ্ঞাত মরদেহের একটি ছিল প্রিয়ার।

মাত্র দুদিন আগে, ২১ জুলাই সকালে মায়ের হাত ধরে স্কুলে এসেছিল আট বছরের ওহি। স্কুল ছুটির ঘণ্টা তখনো বাজেনি, হঠাৎই আকাশ কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণে। মুহূর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওহির সেই চেনা মুখ—মা।

এরপর থেকেই ছোট্ট ওহির একটাই প্রশ্ন ছিল—”মা কই?” পরিবার ব্যথাভারাক্রান্ত হয়ে থেকেছে সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে।

আজ ওহির প্রশ্নের উত্তর এসেছে—কিন্তু সে উত্তর কোনো স্বস্তি নয়, বরং এক দীর্ঘস্থায়ী নীরব কান্না। এখন থেকে আকাশের তারা দেখলেই হয়তো ওহি বলবে—”ওই তারাটার মাঝেই আমার মা থাকে…।”

এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ ত্রিশেরও অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্যামনগরে বিএনপির কাউন্সিলে জাল ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩

“ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত ওহির মা প্রিয়া, উত্তরার সেই বিভীষিকায় নিভে গেল আরও এক জীবনের আলো”

আপডেট সময় ০৮:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

অবশেষে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আফসান ওহির ‘মা’কে খুঁজে পাওয়া গেছে—তবে জীবিত নয়, মৃত। উত্তরার মর্মান্তিক বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিথর হয়ে যাওয়া শত জীবনের একটিই আফসানা আক্তার প্রিয়া। যিনি ছিলেন ছোট্ট ওহির প্রিয়তমা মা।

ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আজ বুধবার (২৩ জুলাই) প্রিয়ার পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আগুনে পুড়ে অচেনা হয়ে যাওয়া পাঁচটি অজ্ঞাত মরদেহের একটি ছিল প্রিয়ার।

মাত্র দুদিন আগে, ২১ জুলাই সকালে মায়ের হাত ধরে স্কুলে এসেছিল আট বছরের ওহি। স্কুল ছুটির ঘণ্টা তখনো বাজেনি, হঠাৎই আকাশ কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণে। মুহূর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওহির সেই চেনা মুখ—মা।

এরপর থেকেই ছোট্ট ওহির একটাই প্রশ্ন ছিল—”মা কই?” পরিবার ব্যথাভারাক্রান্ত হয়ে থেকেছে সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে।

আজ ওহির প্রশ্নের উত্তর এসেছে—কিন্তু সে উত্তর কোনো স্বস্তি নয়, বরং এক দীর্ঘস্থায়ী নীরব কান্না। এখন থেকে আকাশের তারা দেখলেই হয়তো ওহি বলবে—”ওই তারাটার মাঝেই আমার মা থাকে…।”

এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ ত্রিশেরও অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।