ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কার গভীর না হলে স্বৈরাচার ফেরার আশঙ্কা: প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

 

সংস্কার যদি মনের গভীরতা থেকে না আসে তবে দেশে আবারও স্বৈরাচার ফিরে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সংস্কার মানে শুধু কাগজে-কলমে কিছু পরিবর্তন নয়, বরং গভীর থেকে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হবে। যদি সেই পরিবর্তন না আসে, তাহলে আমরা যেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আজ লড়াই করছি, তা আবারও ফিরে আসবে।”

তিনি জানান, জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে করা হবে যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা না যায়। একইসঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ চলছে। তবে বিচার কেবল শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, বরং জনগণকে এই নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য যে রাষ্ট্রক্ষমতা কখনো তাদের দমন করতে ব্যবহৃত হবে না।

রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, এই ঐকমত্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটাই—একটি বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তি, মর্যাদা, গর্ব ও স্বাধীনতার সঙ্গে বাঁচতে পারবে।”

মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট এবং গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়ে জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সারাদেশে ২১ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি

সংস্কার গভীর না হলে স্বৈরাচার ফেরার আশঙ্কা: প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট সময় ০৮:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

 

সংস্কার যদি মনের গভীরতা থেকে না আসে তবে দেশে আবারও স্বৈরাচার ফিরে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সংস্কার মানে শুধু কাগজে-কলমে কিছু পরিবর্তন নয়, বরং গভীর থেকে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হবে। যদি সেই পরিবর্তন না আসে, তাহলে আমরা যেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আজ লড়াই করছি, তা আবারও ফিরে আসবে।”

তিনি জানান, জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে করা হবে যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা না যায়। একইসঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ চলছে। তবে বিচার কেবল শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, বরং জনগণকে এই নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য যে রাষ্ট্রক্ষমতা কখনো তাদের দমন করতে ব্যবহৃত হবে না।

রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, এই ঐকমত্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটাই—একটি বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তি, মর্যাদা, গর্ব ও স্বাধীনতার সঙ্গে বাঁচতে পারবে।”

মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট এবং গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়ে জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।