অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য আকাশপথে খাদ্য ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ফরাসি এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, “গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সবচেয়ে জরুরি ও মৌলিক চাহিদা পূরণে আমরা আকাশপথে মানবিক সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছি। এ সময় নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।”
জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজা দ্রুত দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি ভয়াবহ অপুষ্টি ও রোগবালাইয়ের হার বেড়ে গেছে। অনেক জায়গায় ক্ষুধাজনিত মৃত্যুও ঘটছে।
তবে কূটনৈতিক সূত্রটি একে অস্থায়ী উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করেছে, “আকাশপথের এই ত্রাণ কার্যক্রম কখনোই স্থলপথে ত্রাণ প্রবাহের বিকল্প হতে পারে না।” এসময় ফ্রান্স গাজায় অবাধ ত্রাণ প্রবেশের জন্য ইসরায়েলকে সব সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার আহ্বান জানায়।
সূত্র মতে, ফ্রান্স নিজেও স্থলপথে জরুরি ত্রাণ সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ এটিই সবচেয়ে কার্যকর ও টেকসই উপায় বলে মনে করছে প্যারিস।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, গাজার দুই মিলিয়নের বেশি মানুষ চরম খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিতে ভুগছে। সমালোচনার মুখে কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক সম্প্রতি গাজায় ঢুকতে দিয়েছে ইসরায়েল, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ ২২ মাস পেরিয়ে গেলেও গাজার মানবিক পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বরং বিগত সপ্তাহগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গাজায় চলমান ক্ষুধা ও সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ আরও গভীর হয়েছে।