ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্রাণ নিতে এসে প্রাণ গেল আমিরের—গাজায় মার্কিন সেনার সাক্ষ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্য

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • ৫৫৮ বার পড়া হয়েছে

খাদ্য সহায়তার আশায় দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে গাজায় এক ত্রাণ কেন্দ্রে এসেছিল শিশু আমির। প্রচণ্ড কষ্টের পর হাতে পেয়েছিল সামান্য কিছু ডাল ও চাল। কিন্তু সেই সামান্য খাবার নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারায় সে।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক সাবেক সেনা সদস্য অ্যান্থনি আগুইলার, যিনি বর্তমানে গাজায় বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)-এর আওতায় একটি ত্রাণকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

একটি পডকাস্টে অ্যান্থনি আগুইলার বলেন, গত ২৮ মে গাজায় একটি ত্রাণকেন্দ্রে শিশু আমির আসে। সে তখন প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝেও কিছু খাবার সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। আগুইলার বলেন, “আমি তাকে ডাকলে সে আমার কাছে আসে এবং কৃতজ্ঞতায় আমার হাত চুমু খায়।” কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং সেই গুলিতেই প্রাণ হারায় ছোট্ট আমির।

এক হাজারের বেশি নিহত:
আন্তর্জাতিক সহায়তা কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে গাজায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মদদপুষ্ট ‘জিএইচএফ’ নামের একটি বিতর্কিত সংস্থাকে। এই সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ নিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি।

সূত্র: আলজাজিরা

জনপ্রিয় সংবাদ

‘আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করলেই মিলবে ফ্যাসিবাদ থেকে পূর্ণ মুক্তি’ — মির্জা ফখরুল

ত্রাণ নিতে এসে প্রাণ গেল আমিরের—গাজায় মার্কিন সেনার সাক্ষ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্য

আপডেট সময় ১১:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

খাদ্য সহায়তার আশায় দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে গাজায় এক ত্রাণ কেন্দ্রে এসেছিল শিশু আমির। প্রচণ্ড কষ্টের পর হাতে পেয়েছিল সামান্য কিছু ডাল ও চাল। কিন্তু সেই সামান্য খাবার নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারায় সে।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক সাবেক সেনা সদস্য অ্যান্থনি আগুইলার, যিনি বর্তমানে গাজায় বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)-এর আওতায় একটি ত্রাণকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

একটি পডকাস্টে অ্যান্থনি আগুইলার বলেন, গত ২৮ মে গাজায় একটি ত্রাণকেন্দ্রে শিশু আমির আসে। সে তখন প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝেও কিছু খাবার সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। আগুইলার বলেন, “আমি তাকে ডাকলে সে আমার কাছে আসে এবং কৃতজ্ঞতায় আমার হাত চুমু খায়।” কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং সেই গুলিতেই প্রাণ হারায় ছোট্ট আমির।

এক হাজারের বেশি নিহত:
আন্তর্জাতিক সহায়তা কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে গাজায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মদদপুষ্ট ‘জিএইচএফ’ নামের একটি বিতর্কিত সংস্থাকে। এই সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ নিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি।

সূত্র: আলজাজিরা