ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্ডিগো ফ্লাইটে সহযাত্রীর থাপ্পড়, তারপর থেকেই নিখোঁজ আসামের যুবক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

মাঝ আকাশে আতঙ্কিত হয়ে ওঠা এক সহযাত্রীর ওপর শারীরিক নিপীড়নের পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে গেছেন ভারতের আসামের হুসেন আহমেদ মজুমদার (৩২)। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তার ওপর সহযাত্রীর থাপ্পড় মারার দৃশ্য দেখেই তাকে শনাক্ত করেছেন পরিবার। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ এবং অবস্থান অজানা।

ঘটনাটি ঘটে ইন্ডিগোর মুম্বাই-কলকাতা-শিলচর রুটের ফ্লাইট ২৩৮৭-এ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তিনি নিজ শহর শিলচর ফিরছিলেন। যাত্রার মধ্যেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন হুসেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে শান্ত করতে গিয়ে দুই কেবিন ক্রু এবং একজন সহযাত্রী মারধর করেন, যেখানে আরেক যাত্রী এই সহিংসতার প্রতিবাদ করেন। ঘটনার সময় হুসেন বারবার কাঁপছিলেন এবং অস্বাভাবিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহযাত্রী হাফিজুল রহমানকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরিবার বলছে: “এই ঘটনা কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়”

হুসেনের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে বহুবার এই একই রুটে যাতায়াত করেছেন এবং মানসিকভাবে সুস্থ। তার বাবা আব্দুল মান্নান মজুমদার বলেন, “ভিডিও দেখে আমরা স্তম্ভিত। আমাদের ছেলে এরকম আচরণ আগে কখনো করেনি। তার ওপর মারধরের ঘটনায় কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। এখন তার মোবাইল বন্ধ, কোথায় আছে তাও জানি না।”

পরিবার জানায়, ১ আগস্ট সকালেই তারা শিলচর বিমানবন্দরে তাকে আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হুসেন আসেননি। পরে ভাইরাল ভিডিওতে তাকে দেখে তারা হতবাক হন এবং সঙ্গে সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।

পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে

হুসেনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি জিডি করেছেন তার পরিবার। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিআইএসএফ এবং ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে কেউই হুসেনের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি।

কলকাতা পুলিশ জানায়, হুসেন ১ আগস্ট সকালে কলকাতা থেকে শিলচরগামী কোনো ফ্লাইটে ওঠেননি। এমনকি ২ আগস্টেও তিনি অন্য কোনো ফ্লাইটে ওঠেননি। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে—তিনি কোথায় গেলেন?

নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রশ্ন

এই ঘটনার পর অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিমানে একজন আতঙ্কিত যাত্রীকে থাপ্পড় মারা কতটা গ্রহণযোগ্য? বিশেষ করে কেবিন ক্রু ও অন্য যাত্রীরা তার মানসিক অবস্থার প্রতি যত্নবান না হয়ে কেন শারীরিক নিপীড়নে জড়ালেন?

ইন্ডিগো’র পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি নেই

এখন পর্যন্ত ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা ফাঁসির মুখেও দেশ ছাড়িনি

ইন্ডিগো ফ্লাইটে সহযাত্রীর থাপ্পড়, তারপর থেকেই নিখোঁজ আসামের যুবক

আপডেট সময় ০৮:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

মাঝ আকাশে আতঙ্কিত হয়ে ওঠা এক সহযাত্রীর ওপর শারীরিক নিপীড়নের পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে গেছেন ভারতের আসামের হুসেন আহমেদ মজুমদার (৩২)। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তার ওপর সহযাত্রীর থাপ্পড় মারার দৃশ্য দেখেই তাকে শনাক্ত করেছেন পরিবার। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ এবং অবস্থান অজানা।

ঘটনাটি ঘটে ইন্ডিগোর মুম্বাই-কলকাতা-শিলচর রুটের ফ্লাইট ২৩৮৭-এ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তিনি নিজ শহর শিলচর ফিরছিলেন। যাত্রার মধ্যেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন হুসেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে শান্ত করতে গিয়ে দুই কেবিন ক্রু এবং একজন সহযাত্রী মারধর করেন, যেখানে আরেক যাত্রী এই সহিংসতার প্রতিবাদ করেন। ঘটনার সময় হুসেন বারবার কাঁপছিলেন এবং অস্বাভাবিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহযাত্রী হাফিজুল রহমানকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরিবার বলছে: “এই ঘটনা কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়”

হুসেনের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে বহুবার এই একই রুটে যাতায়াত করেছেন এবং মানসিকভাবে সুস্থ। তার বাবা আব্দুল মান্নান মজুমদার বলেন, “ভিডিও দেখে আমরা স্তম্ভিত। আমাদের ছেলে এরকম আচরণ আগে কখনো করেনি। তার ওপর মারধরের ঘটনায় কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। এখন তার মোবাইল বন্ধ, কোথায় আছে তাও জানি না।”

পরিবার জানায়, ১ আগস্ট সকালেই তারা শিলচর বিমানবন্দরে তাকে আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হুসেন আসেননি। পরে ভাইরাল ভিডিওতে তাকে দেখে তারা হতবাক হন এবং সঙ্গে সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।

পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে

হুসেনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি জিডি করেছেন তার পরিবার। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিআইএসএফ এবং ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে কেউই হুসেনের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি।

কলকাতা পুলিশ জানায়, হুসেন ১ আগস্ট সকালে কলকাতা থেকে শিলচরগামী কোনো ফ্লাইটে ওঠেননি। এমনকি ২ আগস্টেও তিনি অন্য কোনো ফ্লাইটে ওঠেননি। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে—তিনি কোথায় গেলেন?

নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রশ্ন

এই ঘটনার পর অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিমানে একজন আতঙ্কিত যাত্রীকে থাপ্পড় মারা কতটা গ্রহণযোগ্য? বিশেষ করে কেবিন ক্রু ও অন্য যাত্রীরা তার মানসিক অবস্থার প্রতি যত্নবান না হয়ে কেন শারীরিক নিপীড়নে জড়ালেন?

ইন্ডিগো’র পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি নেই

এখন পর্যন্ত ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা।