ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ডরা সামনে যায়নি, ছাত্রদের ঠেলে দিয়েছে” — আসিফ মাহতাব

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা, ২ আগস্ট — ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষক ও বিশ্লেষক আসিফ মাহতাব বলেছেন, “জুলাই আন্দোলনে অনেক মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, যারা নিজেরা সামনে না গিয়ে অন্যদের ঠেলে দিয়েছেন।” শনিবার (২ আগস্ট) জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ মাহতাব বলেন,

“আমি জুলাইয়ে খুব অল্প কিছু ভূমিকা রেখেছিলাম। কিন্তু আমরা জানি, অনেক মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, যারা সামনে যাননি। আপনাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আমি কাউকে সামনে যেতে বলিনি, যতক্ষণ না আমি নিজে সামনে ছিলাম।”

তিনি আরও বলেন,

“আমি আমার ছেলেমেয়েদের সামনে গিয়ে বলেছি, গুলি যদি আসে—এজ আ টিচার, সেটা আগে আমার গায়ে আসা উচিত। ছাত্রদের গায়ে গুলি আসার আগে আমার গায়েও আসা উচিত।”

‘আদর্শ ও হতাশা’ প্রসঙ্গে

আন্দোলনের ফলাফল ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হতাশার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

“জুলাইয়ে আমরা কী চেয়েছিলাম? সংস্কার। কিন্তু সেই সংস্কার কি আদৌ এসেছে? আমরা হতাশ, আর এ হতাশা অনেকাংশেই যৌক্তিক। এটা আমাদের প্রাপ্য ছিল কি?”

তিনি দাবি করেন, আন্দোলনের পর নানা ইস্যুতে বিভ্রান্তি ও দমন-পীড়নের সংস্কৃতি ফিরে এসেছে।

মানবাধিকার ও জাতিসংঘ প্রসঙ্গে সমালোচনা

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আসিফ মাহতাব। তিনি বলেন,

“যে জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে গণহত্যাকারী বলতে পারেনি, সে আমাদের মানবাধিকার শিখাবে? ২০১৩ সালে আমাদের ওপর গণহত্যা হয়েছে—সেটা কী তারা বলেছে?”

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা ফাঁসির মুখেও দেশ ছাড়িনি

“জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ডরা সামনে যায়নি, ছাত্রদের ঠেলে দিয়েছে” — আসিফ মাহতাব

আপডেট সময় ০৯:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা, ২ আগস্ট — ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষক ও বিশ্লেষক আসিফ মাহতাব বলেছেন, “জুলাই আন্দোলনে অনেক মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, যারা নিজেরা সামনে না গিয়ে অন্যদের ঠেলে দিয়েছেন।” শনিবার (২ আগস্ট) জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ মাহতাব বলেন,

“আমি জুলাইয়ে খুব অল্প কিছু ভূমিকা রেখেছিলাম। কিন্তু আমরা জানি, অনেক মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, যারা সামনে যাননি। আপনাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আমি কাউকে সামনে যেতে বলিনি, যতক্ষণ না আমি নিজে সামনে ছিলাম।”

তিনি আরও বলেন,

“আমি আমার ছেলেমেয়েদের সামনে গিয়ে বলেছি, গুলি যদি আসে—এজ আ টিচার, সেটা আগে আমার গায়ে আসা উচিত। ছাত্রদের গায়ে গুলি আসার আগে আমার গায়েও আসা উচিত।”

‘আদর্শ ও হতাশা’ প্রসঙ্গে

আন্দোলনের ফলাফল ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হতাশার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

“জুলাইয়ে আমরা কী চেয়েছিলাম? সংস্কার। কিন্তু সেই সংস্কার কি আদৌ এসেছে? আমরা হতাশ, আর এ হতাশা অনেকাংশেই যৌক্তিক। এটা আমাদের প্রাপ্য ছিল কি?”

তিনি দাবি করেন, আন্দোলনের পর নানা ইস্যুতে বিভ্রান্তি ও দমন-পীড়নের সংস্কৃতি ফিরে এসেছে।

মানবাধিকার ও জাতিসংঘ প্রসঙ্গে সমালোচনা

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আসিফ মাহতাব। তিনি বলেন,

“যে জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে গণহত্যাকারী বলতে পারেনি, সে আমাদের মানবাধিকার শিখাবে? ২০১৩ সালে আমাদের ওপর গণহত্যা হয়েছে—সেটা কী তারা বলেছে?”