ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সময় টেলিভিশন বিতর্ক: জালিয়াতির অভিযোগে চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

সময় টেলিভিশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ জোবায়েরকে অপসারণের ঘটনায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম এবং এমডি শম্পা রহমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আহমেদ জোবায়েরের আইনজীবীরা।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সময় মিডিয়া লিমিটেড বনাম আহমেদ জোবায়ের মামলায় আদালতে মোরশেদুল ইসলাম ও শম্পা রহমান ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া ও জাল নথি উপস্থাপন করেছেন। তারা এমন সব চিঠি আদালতে দিয়েছে যা কাগজে-কলমে ২ ডিসেম্বর দেখানো হলেও বাস্তবে তা ইস্যু করা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। কিছু চিঠি এমনভাবে পাঠানো হয়েছে যাতে মনে হয় নিয়ম মেনে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু পোস্টাল রেকর্ডে দেখা গেছে তা গুলশান পোস্ট অফিস (সিটি গ্রুপ অফিস এলাকা) থেকে পাঠানো, যেখানে জোবায়েরের ঠিকানা নেই।

এই ঘটনাগুলো আদালতের নজরে এলে বিচারক বিষয়টিকে “সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতারণা” হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন।

আহমেদ জোবায়েরের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কেউ যদি আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করে, তাহলে আদালত চাইলে স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিতে পারে, যেটি এই ক্ষেত্রে হয়েছে।

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে চলমান এই মামলায় আহমেদ জোবায়ের দাবি করেন, সময় মিডিয়ার পরিচালনা থেকে তাকে বেআইনিভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তাকে পরিচালকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) আয়োজন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী তাকে ইজিএম-এর নোটিশ দিতে হলেও সেটি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে পেছানো তারিখে জাল নোটিশ পাঠানো হয়।

আদালতে এই প্রতারণার প্রমাণ উপস্থাপন করা হলে বিচারক ২৪ ডিসেম্বরের ইজিএম এবং একইদিনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) উভয়ের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেন। ফলে জোবায়ের পরিচালক পদে বহাল থাকবেন এবং কোম্পানির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও কার্যকর হবে না।

আহমেদ জোবায়েরের আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার আহমেদ নাকিব করিম, ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব, ব্যারিস্টার রাফিউল মাহমুদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট ফয়সাল আল মাহমুদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা ফাঁসির মুখেও দেশ ছাড়িনি

সময় টেলিভিশন বিতর্ক: জালিয়াতির অভিযোগে চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ

আপডেট সময় ১০:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

সময় টেলিভিশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ জোবায়েরকে অপসারণের ঘটনায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম এবং এমডি শম্পা রহমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আহমেদ জোবায়েরের আইনজীবীরা।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সময় মিডিয়া লিমিটেড বনাম আহমেদ জোবায়ের মামলায় আদালতে মোরশেদুল ইসলাম ও শম্পা রহমান ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া ও জাল নথি উপস্থাপন করেছেন। তারা এমন সব চিঠি আদালতে দিয়েছে যা কাগজে-কলমে ২ ডিসেম্বর দেখানো হলেও বাস্তবে তা ইস্যু করা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। কিছু চিঠি এমনভাবে পাঠানো হয়েছে যাতে মনে হয় নিয়ম মেনে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু পোস্টাল রেকর্ডে দেখা গেছে তা গুলশান পোস্ট অফিস (সিটি গ্রুপ অফিস এলাকা) থেকে পাঠানো, যেখানে জোবায়েরের ঠিকানা নেই।

এই ঘটনাগুলো আদালতের নজরে এলে বিচারক বিষয়টিকে “সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতারণা” হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন।

আহমেদ জোবায়েরের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কেউ যদি আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করে, তাহলে আদালত চাইলে স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিতে পারে, যেটি এই ক্ষেত্রে হয়েছে।

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে চলমান এই মামলায় আহমেদ জোবায়ের দাবি করেন, সময় মিডিয়ার পরিচালনা থেকে তাকে বেআইনিভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তাকে পরিচালকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) আয়োজন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী তাকে ইজিএম-এর নোটিশ দিতে হলেও সেটি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে পেছানো তারিখে জাল নোটিশ পাঠানো হয়।

আদালতে এই প্রতারণার প্রমাণ উপস্থাপন করা হলে বিচারক ২৪ ডিসেম্বরের ইজিএম এবং একইদিনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) উভয়ের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেন। ফলে জোবায়ের পরিচালক পদে বহাল থাকবেন এবং কোম্পানির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও কার্যকর হবে না।

আহমেদ জোবায়েরের আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার আহমেদ নাকিব করিম, ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব, ব্যারিস্টার রাফিউল মাহমুদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট ফয়সাল আল মাহমুদ।