ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় মানসিক রোগী কিশোরীর হাতে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে

ইন্দোনেশিয়ার বেংকুলু প্রদেশে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরীর হাতে নিহত হয়েছেন তার মা। স্থানীয় সময় শুক্রবার জোহরের নামাজের সময়, ইয়াতি (৪৯) নামের ওই নারী তার মেয়ের হাতে নির্মমভাবে খুন হন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিলামপারি টিভির বরাতে জানা যায়, অভিযুক্ত এনআর নামের কিশোরী তার মাকে হামানদিস্তা ও ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। আঘাতে ইয়াতির মাথা ও শরীরের একাধিক স্থানে গভীর জখম হয় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ঘটনার পরপরই এনআর পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে। প্রতিবেশীরা হতভম্ব হয়ে দ্রুত ইয়াতির বাড়িতে ছুটে যান এবং তাকে গুরুতর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং কিশোরী এনআরকে আটক করে।

গাদিং সেম্পাকা থানার অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান পুত্রা আগুং জানান, এনআর মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং মাত্র ক’দিন আগেই, ৩০ জুলাই, সুপ্রাপতো মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে এটিই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পুলিশ বর্তমানে এনআরকে সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার ছোট দুই ভাইবোনকে সাময়িকভাবে প্রতিবেশীদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। ইয়াতির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভায়াঙ্গকারা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং পরে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ফ্যাসিবাদবিরোধী আসিফ মাহমুদও এখন ফ্যাসিস্ট-লুটপাটকারী: তারেক রহমান

ইন্দোনেশিয়ায় মানসিক রোগী কিশোরীর হাতে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় ০৯:৩৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার বেংকুলু প্রদেশে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরীর হাতে নিহত হয়েছেন তার মা। স্থানীয় সময় শুক্রবার জোহরের নামাজের সময়, ইয়াতি (৪৯) নামের ওই নারী তার মেয়ের হাতে নির্মমভাবে খুন হন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিলামপারি টিভির বরাতে জানা যায়, অভিযুক্ত এনআর নামের কিশোরী তার মাকে হামানদিস্তা ও ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। আঘাতে ইয়াতির মাথা ও শরীরের একাধিক স্থানে গভীর জখম হয় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ঘটনার পরপরই এনআর পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে। প্রতিবেশীরা হতভম্ব হয়ে দ্রুত ইয়াতির বাড়িতে ছুটে যান এবং তাকে গুরুতর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং কিশোরী এনআরকে আটক করে।

গাদিং সেম্পাকা থানার অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান পুত্রা আগুং জানান, এনআর মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং মাত্র ক’দিন আগেই, ৩০ জুলাই, সুপ্রাপতো মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে এটিই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পুলিশ বর্তমানে এনআরকে সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার ছোট দুই ভাইবোনকে সাময়িকভাবে প্রতিবেশীদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। ইয়াতির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভায়াঙ্গকারা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং পরে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।