ধলাই নদীর উৎসমুখ সাদা পাথর এলাকায় পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা বিপুল পরিমাণ পাথর অবৈধভাবে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী একটি চক্র দিনে-রাতে শত শত নৌকা ব্যবহার করে এই মূল্যবান সাদা পাথর তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
বালু খননসহ নদীর তীরেও অবৈধ লুটপাট চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক মাস ধরে এই লুটপাট অব্যাহত থাকায় পাথরের স্তূপ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এতে প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর একেবারে বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলের পর জমা হওয়া পাথর স্থানীয় প্রশাসনের পাহারায় থাকলেও, বাস্তবে দিনদুপুরে এ লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে ধলাই নদীতে কয়েক দফা ঢল নামে, কিন্তু বালুর স্তর সরিয়ে পাথরগুলো লুট করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তারা দাবি করেন, মাত্র দুই সপ্তাহে শতকোটি টাকার পাথর চলে গেছে অবৈধভাবে।
২০১৭ সালে পাহাড়ি ঢলের ফলে ধলাই নদীর উৎসমুখে পাঁচ একর জায়গায় পাথর জমা হয়, যা প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। সাদা পাথর এলাকার ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঝরনা থেকে নদের পানি প্রবাহিত হয়, যা সাদাপাথরের মূল্য বাড়ায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের মাহমুদ আদনান জানান, এই ঘটনা রোধে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্কফোর্স অভিযান চালায়, পুলিশ সহযোগিতা করছে, তবে সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া এককভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
অবৈধ উত্তোলন ও লুটপাটের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।