ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইরোবি বিমানবন্দরে নিঃসঙ্গ কফিন — আবেগঘন স্মৃতিচারণ করলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৯৬ বার পড়া হয়েছে

উগান্ডা সফরের পথে কেনিয়ার নাইরোবি বিমানবন্দরে এক হৃদয়স্পর্শী দৃশ্যের সাক্ষী হন দেশের জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে তিনি এ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, যাত্রাবিরতির সময় চোখ আটকে যায় স্বজনহীন, নিঃসঙ্গ এক লাশের কফিনে। ধারণা করা হয়, ব্যক্তি কাজের সূত্রে অন্য দেশ থেকে কেনিয়ায় এসেছিলেন, আর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। কোনো স্বজন ছাড়াই কফিনটি ফিরছে নিজের দেশে—যাত্রীদের মালামালের সারিতে।

তিনি উল্লেখ করেন, লাশটির বুকেও ছিল অগণিত স্বপ্ন, যেমন স্বপ্ন নিয়ে আমরাও পৃথিবী চষে বেড়াই। কিন্তু ক্ষণস্থায়ী জীবনের মোহে হালাল-হারামের তোয়াক্কা ভুলে যাই আমরা অনেকেই। অথচ শেষ পরিণতি কফিনের সেই মানুষটির মতোই—শূন্য হাতে ফিরে যাওয়া।

শায়খ আহমাদুল্লাহ নবীজি (সা.)-এর হাদিস স্মরণ করিয়ে দেন—পৃথিবীতে যেন মুসাফিরের মতো বাস করা হয়। তার ভাষায়, “পৃথিবী এক ক্ষণস্থায়ী সরাইখানা ছাড়া কিছু নয়। শেষ ঠিকানায় পৌঁছাতে হলে এই পথের মোহ ত্যাগ করতে হবে। প্রকৃত ঠিকানাই জান্নাত।”

তিনি জানান, সম্প্রতি উগান্ডার বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক ইসলামিক কনফারেন্সে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, আর সেই সফরেই এই দৃশ্যের ছবি তুলেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী আন্দোলন: পিআর পদ্ধতির নির্বাচন না হলে রাজপথে নামতে হবে

নাইরোবি বিমানবন্দরে নিঃসঙ্গ কফিন — আবেগঘন স্মৃতিচারণ করলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

আপডেট সময় ১২:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

উগান্ডা সফরের পথে কেনিয়ার নাইরোবি বিমানবন্দরে এক হৃদয়স্পর্শী দৃশ্যের সাক্ষী হন দেশের জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে তিনি এ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, যাত্রাবিরতির সময় চোখ আটকে যায় স্বজনহীন, নিঃসঙ্গ এক লাশের কফিনে। ধারণা করা হয়, ব্যক্তি কাজের সূত্রে অন্য দেশ থেকে কেনিয়ায় এসেছিলেন, আর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। কোনো স্বজন ছাড়াই কফিনটি ফিরছে নিজের দেশে—যাত্রীদের মালামালের সারিতে।

তিনি উল্লেখ করেন, লাশটির বুকেও ছিল অগণিত স্বপ্ন, যেমন স্বপ্ন নিয়ে আমরাও পৃথিবী চষে বেড়াই। কিন্তু ক্ষণস্থায়ী জীবনের মোহে হালাল-হারামের তোয়াক্কা ভুলে যাই আমরা অনেকেই। অথচ শেষ পরিণতি কফিনের সেই মানুষটির মতোই—শূন্য হাতে ফিরে যাওয়া।

শায়খ আহমাদুল্লাহ নবীজি (সা.)-এর হাদিস স্মরণ করিয়ে দেন—পৃথিবীতে যেন মুসাফিরের মতো বাস করা হয়। তার ভাষায়, “পৃথিবী এক ক্ষণস্থায়ী সরাইখানা ছাড়া কিছু নয়। শেষ ঠিকানায় পৌঁছাতে হলে এই পথের মোহ ত্যাগ করতে হবে। প্রকৃত ঠিকানাই জান্নাত।”

তিনি জানান, সম্প্রতি উগান্ডার বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক ইসলামিক কনফারেন্সে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, আর সেই সফরেই এই দৃশ্যের ছবি তুলেছেন।