ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দালালের প্রলোভনে সৌদি প্রবাসে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু, শোকে গাইবান্ধার গ্রাম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৯৯ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের রসুলপুর বালুপাড়া গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সৌদি আরবে চাকরি না পেয়ে অভাব-অনটনে মারা গেছেন গ্রামের প্রাণবন্ত যুবক সাফিউল ইসলাম (২৫)।

দিনমজুর বাবার দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা সাফিউল গত বছরের ১ মে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ এবং স্থানীয়ভাবে আরও ১ লাখ টাকা সুদে নিয়ে এক দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব পাড়ি জমান। কিন্তু সেখানে বৈধ কাগজপত্রের অভাবে চাকরি না পেয়ে ১৫ মাস মসজিদ ও রাস্তায় খাবার ভিক্ষা করে মানবেতর জীবন কাটান। অসুস্থ হয়ে গত ২৮ জুলাই সৌদি আরবের একটি হাসপাতালের গেটে চিকিৎসা ও খাবারের অভাবে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সাফিউলের বাবা-মা মোছা. মহিলা বেগম ও মো. জলিল শেখ ছেলের মরদেহ দেশে আনার ব্যয় বহন করতে পারছেন না। পরিবারের সচ্ছলতার জন্য বিদেশে পাঠানো ছেলেকে হারিয়ে তারা দালালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন।

স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের প্রবাস ফেরত ‘মিস্টার’ নামে পরিচিত এক দালালের মাধ্যমে সাফিউল ও রনি নামের আরেক যুবক একসঙ্গে সৌদি যান। রনিও বর্তমানে একই অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘটনার পর থেকে ওই দালাল পলাতক।

গাইবান্ধা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নেশারুল হক জানিয়েছেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাফিউলের মরদেহ দেশে আনার সব ধরনের সরকারি সহযোগিতা করা হবে এবং দালালের মাধ্যমে বিদেশগমনের ঝুঁকি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সাফিউলের অকাল মৃত্যুতে গোটা গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে আছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী আন্দোলন: পিআর পদ্ধতির নির্বাচন না হলে রাজপথে নামতে হবে

দালালের প্রলোভনে সৌদি প্রবাসে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু, শোকে গাইবান্ধার গ্রাম

আপডেট সময় ০৮:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের রসুলপুর বালুপাড়া গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সৌদি আরবে চাকরি না পেয়ে অভাব-অনটনে মারা গেছেন গ্রামের প্রাণবন্ত যুবক সাফিউল ইসলাম (২৫)।

দিনমজুর বাবার দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা সাফিউল গত বছরের ১ মে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ এবং স্থানীয়ভাবে আরও ১ লাখ টাকা সুদে নিয়ে এক দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব পাড়ি জমান। কিন্তু সেখানে বৈধ কাগজপত্রের অভাবে চাকরি না পেয়ে ১৫ মাস মসজিদ ও রাস্তায় খাবার ভিক্ষা করে মানবেতর জীবন কাটান। অসুস্থ হয়ে গত ২৮ জুলাই সৌদি আরবের একটি হাসপাতালের গেটে চিকিৎসা ও খাবারের অভাবে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সাফিউলের বাবা-মা মোছা. মহিলা বেগম ও মো. জলিল শেখ ছেলের মরদেহ দেশে আনার ব্যয় বহন করতে পারছেন না। পরিবারের সচ্ছলতার জন্য বিদেশে পাঠানো ছেলেকে হারিয়ে তারা দালালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন।

স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের প্রবাস ফেরত ‘মিস্টার’ নামে পরিচিত এক দালালের মাধ্যমে সাফিউল ও রনি নামের আরেক যুবক একসঙ্গে সৌদি যান। রনিও বর্তমানে একই অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘটনার পর থেকে ওই দালাল পলাতক।

গাইবান্ধা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নেশারুল হক জানিয়েছেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাফিউলের মরদেহ দেশে আনার সব ধরনের সরকারি সহযোগিতা করা হবে এবং দালালের মাধ্যমে বিদেশগমনের ঝুঁকি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সাফিউলের অকাল মৃত্যুতে গোটা গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে আছে।