ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর মাঠ-পার্ক দখল নিয়ে উদ্বেগ, দখলদারদের উচ্ছেদে কঠোর পদক্ষেপের দাবি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মাঠ ও পার্কগুলো সরকারি সম্পত্তি হলেও রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় বিভিন্ন ক্লাবের দখলে চলে যাচ্ছে। উচ্চ আদালতের একাধিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর উদাসীনতায় দখলদাররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

শনিবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাঠ, পার্ক ও জলাধার দখলমুক্ত আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

খিলগাঁও আবাসিক এলাকার পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না বলেন, সরকারের সঙ্গে বারবার কথা হলেও মাঠ-পার্ক রক্ষায় কোনো অগ্রগতি নেই। সংবিধান সংস্কার কমিটির সদস্য ফিরোজ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, শেখ জামাল বা শেখ কামালের নামে দখল হোক কিংবা অন্য যে নামেই হোক—জনগণ মাঠগুলো ফেরত পায়নি।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব জানান, মাঠ উন্মুক্তকরণের অঙ্গীকার সত্ত্বেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের সৈয়দা রত্না বলেন, মাঠ নিয়ে আবার মামলা হয়েছে, মনে হচ্ছে লড়াই নতুন করে শুরু হলো।

ধানমন্ডি মাঠ দখল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেভ ধানমন্ডি প্লেগ্রাউন্ডসের সংগঠক সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ অভিযোগ করেন, ক্লাবের নামে মাঠ বাণিজ্যিকীকরণ করে কোটি টাকা আয় করছে একটি প্রভাবশালী মহল।

গুলশানের শহীদ তাজউদ্দীন স্মৃতি পার্ক দখলের প্রসঙ্গ তুলে জনস্বাস্থ্য ও নীতি বিশ্লেষক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন বলেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গুলশান ইয়ুথ ক্লাব পার্কটিকে বাণিজ্যিক টার্ফ মাঠে পরিণত করেছে। রাজউক একবার ক্লাবের চুক্তি বাতিল করলেও সম্প্রতি উল্টো পুনর্বহাল করেছে, যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা।

সংবাদ সম্মেলনে স্বল্প মেয়াদে ১৫ দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—অবৈধ দখল উচ্ছেদ, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী মাঠ-পার্ক সংরক্ষণ, নাগরিকদের উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, ক্লাবের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করা, মাঠকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।

বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল মাঠ-পার্ক উন্মুক্ত হবে। কিন্তু সরকারের নীরবতায় সেই প্রত্যাশা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানে ত্রাণ পৌঁছল গাজায়, মানবিক সংকট এখনও কমেনি

রাজধানীর মাঠ-পার্ক দখল নিয়ে উদ্বেগ, দখলদারদের উচ্ছেদে কঠোর পদক্ষেপের দাবি

আপডেট সময় ১২:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর মাঠ ও পার্কগুলো সরকারি সম্পত্তি হলেও রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় বিভিন্ন ক্লাবের দখলে চলে যাচ্ছে। উচ্চ আদালতের একাধিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর উদাসীনতায় দখলদাররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

শনিবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাঠ, পার্ক ও জলাধার দখলমুক্ত আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

খিলগাঁও আবাসিক এলাকার পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না বলেন, সরকারের সঙ্গে বারবার কথা হলেও মাঠ-পার্ক রক্ষায় কোনো অগ্রগতি নেই। সংবিধান সংস্কার কমিটির সদস্য ফিরোজ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, শেখ জামাল বা শেখ কামালের নামে দখল হোক কিংবা অন্য যে নামেই হোক—জনগণ মাঠগুলো ফেরত পায়নি।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব জানান, মাঠ উন্মুক্তকরণের অঙ্গীকার সত্ত্বেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের সৈয়দা রত্না বলেন, মাঠ নিয়ে আবার মামলা হয়েছে, মনে হচ্ছে লড়াই নতুন করে শুরু হলো।

ধানমন্ডি মাঠ দখল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেভ ধানমন্ডি প্লেগ্রাউন্ডসের সংগঠক সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ অভিযোগ করেন, ক্লাবের নামে মাঠ বাণিজ্যিকীকরণ করে কোটি টাকা আয় করছে একটি প্রভাবশালী মহল।

গুলশানের শহীদ তাজউদ্দীন স্মৃতি পার্ক দখলের প্রসঙ্গ তুলে জনস্বাস্থ্য ও নীতি বিশ্লেষক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন বলেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গুলশান ইয়ুথ ক্লাব পার্কটিকে বাণিজ্যিক টার্ফ মাঠে পরিণত করেছে। রাজউক একবার ক্লাবের চুক্তি বাতিল করলেও সম্প্রতি উল্টো পুনর্বহাল করেছে, যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা।

সংবাদ সম্মেলনে স্বল্প মেয়াদে ১৫ দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—অবৈধ দখল উচ্ছেদ, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী মাঠ-পার্ক সংরক্ষণ, নাগরিকদের উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, ক্লাবের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করা, মাঠকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।

বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল মাঠ-পার্ক উন্মুক্ত হবে। কিন্তু সরকারের নীরবতায় সেই প্রত্যাশা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে।