ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুলশানে বৈধ কফিশপে ভাঙচুরের অভিযোগ, মুনজুরুল করিমের নালিশ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬১০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর অভিযানে তালাশের সময় অনুসন্ধানী সাংবাদিক মুনজুরুল করিমের কফিশপ ‘ওরোমো’-তে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে গুলশান-২-এর ল্যান্ডমার্ক সেন্টারে অবস্থিত দোকানটিতে এই ঘটনা ঘটে।

মুনজুরুল করিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করেন, “গুলশানের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে চলা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো অক্ষত থাকলেও নিয়ম মেনে পরিচালিত বৈধ কফিশপে হঠাৎ অভিযান চালানো হয়েছে। কিছু সরঞ্জাম জব্দও করা হয়েছে। এমন ঘটনার পেছনে হয়তো ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকতে পারে।”

দোকানের আরেক পার্টনার আসলাম বিশ্বাস বলেন, “দুই যুগের বেশি সময় ধরে মার্কেটের পজিশন কিনে বৈধভাবে ব্যবসা করছি। তবু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অভিযান চালিয়ে দোকান ভাঙচুর করেছেন। আশপাশের অন্যান্য স্থায়ী শেড বা ফুটপাত দখলের ওপর কোনো পদক্ষেপ হয়নি।”

অভিযানকে সিটি করপোরেশনের নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, “ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখা হয়েছিল এবং শেড দেওয়া হয়েছিল। অভিযান প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমানের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে।”

সরেজমিনে দেখা গেছে, আশপাশের অনেক ভবনে স্থায়ী শেড রয়েছে এবং রাস্তা দখল করে ব্যবসা করা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মুনজুরুল করিম ও পার্টনাররা অভিযোগ করেছেন, বৈধ ব্যবসার ওপর এই অভিযান অনুচিত এবং নিয়মবিরোধী।

জনপ্রিয় সংবাদ

রবীন্দ্রনাথ হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

গুলশানে বৈধ কফিশপে ভাঙচুরের অভিযোগ, মুনজুরুল করিমের নালিশ

আপডেট সময় ১১:১৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর অভিযানে তালাশের সময় অনুসন্ধানী সাংবাদিক মুনজুরুল করিমের কফিশপ ‘ওরোমো’-তে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে গুলশান-২-এর ল্যান্ডমার্ক সেন্টারে অবস্থিত দোকানটিতে এই ঘটনা ঘটে।

মুনজুরুল করিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করেন, “গুলশানের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে চলা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো অক্ষত থাকলেও নিয়ম মেনে পরিচালিত বৈধ কফিশপে হঠাৎ অভিযান চালানো হয়েছে। কিছু সরঞ্জাম জব্দও করা হয়েছে। এমন ঘটনার পেছনে হয়তো ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকতে পারে।”

দোকানের আরেক পার্টনার আসলাম বিশ্বাস বলেন, “দুই যুগের বেশি সময় ধরে মার্কেটের পজিশন কিনে বৈধভাবে ব্যবসা করছি। তবু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অভিযান চালিয়ে দোকান ভাঙচুর করেছেন। আশপাশের অন্যান্য স্থায়ী শেড বা ফুটপাত দখলের ওপর কোনো পদক্ষেপ হয়নি।”

অভিযানকে সিটি করপোরেশনের নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, “ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখা হয়েছিল এবং শেড দেওয়া হয়েছিল। অভিযান প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমানের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে।”

সরেজমিনে দেখা গেছে, আশপাশের অনেক ভবনে স্থায়ী শেড রয়েছে এবং রাস্তা দখল করে ব্যবসা করা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মুনজুরুল করিম ও পার্টনাররা অভিযোগ করেছেন, বৈধ ব্যবসার ওপর এই অভিযান অনুচিত এবং নিয়মবিরোধী।