ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুখরঞ্জন বালী অভিযোগ দায়ের করেছেন শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

এক যুগ আগে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গুম হওয়া সুখরঞ্জন বালী ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে দাখিল করা হয়েছে সুখরঞ্জন বালীর অভিযোগে বলা হয়েছে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়ায় তাকে দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয়েছিল রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় তাকে অপহরণ, গুম এবং পাঁচ বছর অবৈধভাবে কারাবন্দি রাখা হয়েছিল এবং সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব অন্যায়ের বিচার চান সুখরঞ্জন বালী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তার ভাই বিশেশ্বর বালীকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে তার হত্যার প্রকৃত তথ্য জানাতে গেলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জোরপূর্বক মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ দিত স্থানীয় এমপি ও পৌর মেয়রসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজনকেও তার ওপর চাপ ও হুমকি দিতে নিয়ে আসা হয় এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয় এবং বৈদ্যুতিক শক, লাঠি ও অন্যান্য শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রায় দুই মাস অন্ধকার ঘরে বন্দি রাখা হয় প্রলোভন ও প্রতিরোধ সত্ত্বেও তাকে ভারতে পাঠিয়ে পাঁচ বছর অবৈধভাবে কারাবন্দি রাখা হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনার বিচার চান সুখরঞ্জন বালী তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন সাঈদী হুজুরের বিরুদ্ধে মামলা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার, দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ রাখা এবং শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে তিনি তার ওপর ঘটে যাওয়া অপহরণ, গুম, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সঙ্গে সমস্ত অন্যায়ের বিচার দাবি করেছেন এই মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক এটিএম ফজলে কবির, ট্রাইব্যুনালের সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ও তৎকালীন তদন্ত সংস্থার প্রধান মো. সানাউল হক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পেয়ে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিলের মাধ্যমে আমৃত্যু কারাদণ্ডে রায় পান এবং ২০২৩ সালের আগস্টে কারাবন্দি অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনা দূতাবাসে এনসিপি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বিদায়ী সংবর্ধনা

সুখরঞ্জন বালী অভিযোগ দায়ের করেছেন শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১০:৫৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

এক যুগ আগে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গুম হওয়া সুখরঞ্জন বালী ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে দাখিল করা হয়েছে সুখরঞ্জন বালীর অভিযোগে বলা হয়েছে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়ায় তাকে দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয়েছিল রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় তাকে অপহরণ, গুম এবং পাঁচ বছর অবৈধভাবে কারাবন্দি রাখা হয়েছিল এবং সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব অন্যায়ের বিচার চান সুখরঞ্জন বালী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তার ভাই বিশেশ্বর বালীকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে তার হত্যার প্রকৃত তথ্য জানাতে গেলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জোরপূর্বক মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ দিত স্থানীয় এমপি ও পৌর মেয়রসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজনকেও তার ওপর চাপ ও হুমকি দিতে নিয়ে আসা হয় এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয় এবং বৈদ্যুতিক শক, লাঠি ও অন্যান্য শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রায় দুই মাস অন্ধকার ঘরে বন্দি রাখা হয় প্রলোভন ও প্রতিরোধ সত্ত্বেও তাকে ভারতে পাঠিয়ে পাঁচ বছর অবৈধভাবে কারাবন্দি রাখা হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনার বিচার চান সুখরঞ্জন বালী তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন সাঈদী হুজুরের বিরুদ্ধে মামলা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার, দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ রাখা এবং শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে তিনি তার ওপর ঘটে যাওয়া অপহরণ, গুম, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সঙ্গে সমস্ত অন্যায়ের বিচার দাবি করেছেন এই মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক এটিএম ফজলে কবির, ট্রাইব্যুনালের সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ও তৎকালীন তদন্ত সংস্থার প্রধান মো. সানাউল হক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পেয়ে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিলের মাধ্যমে আমৃত্যু কারাদণ্ডে রায় পান এবং ২০২৩ সালের আগস্টে কারাবন্দি অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান