আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি লিভার ও ক্যানসারসহ কিডনি জটিলতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খায়রুল ইসলাম। সোমবার (২৫ আগস্ট) আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
শুনানিতে আইনজীবী জানান, মামলার ঘটনায় আফ্রিদির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বাদীর অভিযোগে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে নিহত হন ভিকটিম আসাদুল হক বাবু। তাছাড়া গত বছর বাদী নিজেই এফিডেভিট দিয়ে স্বীকার করেন, তথ্যগত ভুলে আফ্রিদির নাম যুক্ত হয়েছে। তাই তাকে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই।
আফ্রিদির আইনজীবী আরও জানান, তিনি কিডনি ও লিভারের জটিলতায় ভুগছেন, প্রস্রাবে রক্ত আসছে। স্ত্রী গর্ভবতী—এমন মানবিক কারণে জামিন মঞ্জুরের আবেদন করা হয়।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, আফ্রিদি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আন্দোলনের সময় তিনি লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালাতে উৎসাহিত করেছেন। রিমান্ডে নিলে জানা যাবে কারা এ হত্যাকাণ্ডে পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা, অর্থদাতা ও অস্ত্রদাতা।
উভয়পক্ষের যুক্তি শুনে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে কাঠগড়ার লোহার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে মনোযোগ দিয়ে সব শুনেন আফ্রিদি। পরে হাজতখানায় নেওয়ার সময় তাকে পেটে হাত দিয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। আদালতের ভিড়ে জুতা হারিয়ে খালি পায়ে হাজতে ঢুকেন তিনি।
এর আগে রবিবার (২৪ আগস্ট) রাতে বরিশাল থেকে সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। এরও আগে গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রনেতা আসাদুল হক বাবু। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। সেখানে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এবং তার বাবা নাসির উদ্দিন ২২ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।