ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবা-ছেলের অবৈধ প্রভাবে মাই টিভি দখল!

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে

বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘মাই টিভি’র চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আফ্রিদি ও তাঁর বাবার নানা অপকর্মের তথ্য মিলছে।

সিআইডির কর্মকর্তাদের ভাষ্য, পতিত সরকারের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিকে ম্যানেজ করে নাসির উদ্দিন সাথী ‘মাই টিভি’ দখল করেছিলেন। এ সময় দুর্নীতি, পেশিশক্তি ও ক্ষমতার প্রভাবে তিনি বিপুল অর্থের মালিক হয়ে ওঠেন। বাবার ছত্রছায়ায় তৌহিদ আফ্রিদিও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। মন্ত্রীদের সঙ্গে চলাফেরা, শোবিজ অঙ্গনের নারীদের নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং বিদেশে গিয়ে অপরাধ জগতের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর নিত্যকার অভ্যাস।

তদন্তে জানা গেছে, নাসির উদ্দিন সাথী আসলে ‘মাই টিভি’র প্রকৃত মালিক নন। বিলকিস জাহান নামে এক নারীর কাছ থেকে জাল-জালিয়াতি ও প্রভাব খাটিয়ে তিনি চ্যানেলটি দখল করেন। এর পর থেকে বাবা-ছেলে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের জিম্মি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।

সিআইডি জানায়, আফ্রিদি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলারও আসামি। গত বছর দায়ের করা ওই মামলায় তাঁকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এ ছাড়া নারী সরবরাহ, চাকরি বাণিজ্য, মাদক ব্যবসাসহ অসংখ্য অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

তদন্তকারীরা বলেন, আফ্রিদি ও তাঁর বাবার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল, হার্ডডিস্ক ও ম্যাকবুকের ফরেনসিক পরীক্ষার কাজ চলছে। এসব ডিভাইসে তাঁদের অপরাধ জগতের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।

গত ১৭ আগস্ট গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই আফ্রিদি-বাবা জুটির অপরাধ সাম্রাজ্যের নানা অজানা অধ্যায় বেরিয়ে আসছে বলে জানায় সিআইডি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জয়ে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট, পরে সরাল পাকিস্তান জামায়াত

বাবা-ছেলের অবৈধ প্রভাবে মাই টিভি দখল!

আপডেট সময় ১২:১০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘মাই টিভি’র চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আফ্রিদি ও তাঁর বাবার নানা অপকর্মের তথ্য মিলছে।

সিআইডির কর্মকর্তাদের ভাষ্য, পতিত সরকারের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিকে ম্যানেজ করে নাসির উদ্দিন সাথী ‘মাই টিভি’ দখল করেছিলেন। এ সময় দুর্নীতি, পেশিশক্তি ও ক্ষমতার প্রভাবে তিনি বিপুল অর্থের মালিক হয়ে ওঠেন। বাবার ছত্রছায়ায় তৌহিদ আফ্রিদিও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। মন্ত্রীদের সঙ্গে চলাফেরা, শোবিজ অঙ্গনের নারীদের নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং বিদেশে গিয়ে অপরাধ জগতের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর নিত্যকার অভ্যাস।

তদন্তে জানা গেছে, নাসির উদ্দিন সাথী আসলে ‘মাই টিভি’র প্রকৃত মালিক নন। বিলকিস জাহান নামে এক নারীর কাছ থেকে জাল-জালিয়াতি ও প্রভাব খাটিয়ে তিনি চ্যানেলটি দখল করেন। এর পর থেকে বাবা-ছেলে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের জিম্মি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।

সিআইডি জানায়, আফ্রিদি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলারও আসামি। গত বছর দায়ের করা ওই মামলায় তাঁকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এ ছাড়া নারী সরবরাহ, চাকরি বাণিজ্য, মাদক ব্যবসাসহ অসংখ্য অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

তদন্তকারীরা বলেন, আফ্রিদি ও তাঁর বাবার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল, হার্ডডিস্ক ও ম্যাকবুকের ফরেনসিক পরীক্ষার কাজ চলছে। এসব ডিভাইসে তাঁদের অপরাধ জগতের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।

গত ১৭ আগস্ট গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই আফ্রিদি-বাবা জুটির অপরাধ সাম্রাজ্যের নানা অজানা অধ্যায় বেরিয়ে আসছে বলে জানায় সিআইডি।