ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টি–গণঅধিকার সংঘর্ষে সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপ, পাঁচজন আহত: আইএসপিআর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৪২ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রথমে চেষ্টা চালায়। কিন্তু সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে এবং পুলিশের ওপর হামলা হলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে।

আইএসপিআর জানায়, সংঘর্ষ ঠেকাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা সদস্যরা সেখানে হস্তক্ষেপ করে। এসময় সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে বল প্রয়োগ করতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী। ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতা বাড়তে থাকে।

আইএসপিআরের ভাষ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুরুতে উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানায়। তবে অনুরোধ অগ্রাহ্য করে অংশগ্রহণকারীরা সংগঠিতভাবে হামলা চালায়। রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিল বের করে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

এই ঘটনায় বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টি–গণঅধিকার সংঘর্ষে সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপ, পাঁচজন আহত: আইএসপিআর

আপডেট সময় ০৯:০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রথমে চেষ্টা চালায়। কিন্তু সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে এবং পুলিশের ওপর হামলা হলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে।

আইএসপিআর জানায়, সংঘর্ষ ঠেকাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা সদস্যরা সেখানে হস্তক্ষেপ করে। এসময় সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে বল প্রয়োগ করতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী। ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতা বাড়তে থাকে।

আইএসপিআরের ভাষ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুরুতে উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানায়। তবে অনুরোধ অগ্রাহ্য করে অংশগ্রহণকারীরা সংগঠিতভাবে হামলা চালায়। রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিল বের করে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

এই ঘটনায় বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।