ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মধ্যে ছাত্রদলকে ‘দায় চাপানোর রাজনীতি’র অভিযোগ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী এসএম ফরহাদ। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
ফরহাদ বলেন, সারা দেশে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও অন্তর্কোন্দলের মতো ঘটনা আড়াল করতে ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, গত এক বছরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩০টি ধর্ষণ মামলার বিচার চলছে। তার অভিযোগ, “যারা শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্কের উৎস হয়ে উঠেছে, তারা নিজেদের অপকর্মের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে।”
সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রদল এখন “শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর”—এমন স্লোগান ব্যবহার করছে, যা একসময় ছাত্রলীগ দিত। তার ভাষায়, “এ ধরনের নৃশংস রাজনীতি ছাত্রদল আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।”
সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনে এক নারী প্রার্থীকে ‘গণধর্ষণের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে আলোচনায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে ঘিরেও অবস্থান জানায় শিবির। ফরহাদ দাবি করেন, আলী হুসেন তাদের কেউ নন, বরং ছাত্রদল ঘনিষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা নিজেরাই প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে, আলী হুসেনকে ঘিরে বিতর্কের তদন্তে ডাকসু প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর দপ্তর দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিষয়টি প্রশাসনিক তদন্তাধীন রয়েছে।
এ সময় ফরহাদ নিজের প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টে হওয়া রিট প্রসঙ্গে বলেন, আদালতের রায় যাই হোক, তারা তা মেনে নেবেন। তবে তার দাবি, আলী হুসেনের হুমকির বিষয়টি আসলে তাদের প্যানেলকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানোর কৌশল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সাম্প্রতিক সংঘাতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করে ছাত্রদল এখন রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকতে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের পথে হাঁটছে।