ঢাকা ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে বেডেই সাতপাকে বাঁধা মানিকগঞ্জের অভিজিৎ-অমৃতা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:৪১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

রবীন্দ্রনাথের ‘হৈমন্তী’র কাহিনির মতোই বাস্তব জীবনে ব্যতিক্রমী এক ঘটনার সাক্ষী হলো মানিকগঞ্জ। বিয়ের লগ্ন পেরোনোর আগে শুভদিনে কনেকে নিতে হবেই—এই বিশ্বাস থেকে হাসপাতালের বেডেই সম্পন্ন হলো অভিজিৎ সাহা ও অমৃতা সরকারের বিয়ে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে মানিকগঞ্জ শহরের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালের এক খালি জায়গায় আয়োজন করা হয় বিশেষ এ বিয়ের। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অভিজিৎ তখনও হাসপাতালের বেডে। তবে দুই পরিবারের সম্মতি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ধর্মীয় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় হাসপাতালেই।

বর শয্যাশায়ী থাকলেও সিঁদুরদান থেকে শুরু করে সাতপাক—সবই অনুষ্ঠিত হয় বেডকে কেন্দ্র করেই। বরের বাবা অরবিন্দ সাহা জানান, দুর্ঘটনা সত্ত্বেও তারিখ পরিবর্তন করা হয়নি। নির্ধারিত সময়েই আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

কনে অমৃতা সরকার স্বামীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সবার কাছে দোয়া চান। হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হাসপাতালজুড়ে আনন্দের স্রোতে ভেসে যাওয়া এই ব্যতিক্রমী বিয়ে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জয়ে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট, পরে সরাল পাকিস্তান জামায়াত

হাসপাতালে বেডেই সাতপাকে বাঁধা মানিকগঞ্জের অভিজিৎ-অমৃতা

আপডেট সময় ০৩:৪১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রবীন্দ্রনাথের ‘হৈমন্তী’র কাহিনির মতোই বাস্তব জীবনে ব্যতিক্রমী এক ঘটনার সাক্ষী হলো মানিকগঞ্জ। বিয়ের লগ্ন পেরোনোর আগে শুভদিনে কনেকে নিতে হবেই—এই বিশ্বাস থেকে হাসপাতালের বেডেই সম্পন্ন হলো অভিজিৎ সাহা ও অমৃতা সরকারের বিয়ে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে মানিকগঞ্জ শহরের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালের এক খালি জায়গায় আয়োজন করা হয় বিশেষ এ বিয়ের। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অভিজিৎ তখনও হাসপাতালের বেডে। তবে দুই পরিবারের সম্মতি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ধর্মীয় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় হাসপাতালেই।

বর শয্যাশায়ী থাকলেও সিঁদুরদান থেকে শুরু করে সাতপাক—সবই অনুষ্ঠিত হয় বেডকে কেন্দ্র করেই। বরের বাবা অরবিন্দ সাহা জানান, দুর্ঘটনা সত্ত্বেও তারিখ পরিবর্তন করা হয়নি। নির্ধারিত সময়েই আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

কনে অমৃতা সরকার স্বামীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সবার কাছে দোয়া চান। হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হাসপাতালজুড়ে আনন্দের স্রোতে ভেসে যাওয়া এই ব্যতিক্রমী বিয়ে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা চলছে।