ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইমাম মেহেদি’ দাবিকারী নুরু পাগলের দরবারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিল তৌহিদী জনতা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৮০ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মেহেদি’ দাবিকারী নুরুল হক ওরফে নুরু পাগলের দরবার ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় তৌহিদী জনতা। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল থেকে দরবারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় নুরু পাগলের কবর খুঁড়ে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভে নামেন মুসল্লিরা। তারা দরবারের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। তবে ঘটনার পরও বিক্ষুব্ধ জনতা আশপাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস। আহতদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান বলেন, “নুরু পাগলের বাড়ি ও দরবারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সময় আমার গাড়ি ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব রয়েছে।”

রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরু পাগল। পরে তাকে গোয়ালন্দ দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে কাবা শরীফের আদলে নির্মিত ১২ ফুট উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়। এরপর থেকেই স্থানীয় মুসল্লিরা কবর নিচু করা, রঙ পরিবর্তন ও “ইমাম মেহেদি দরবার শরীফ” লেখা সাইনবোর্ড অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ইমাম মেহেদি’ দাবিকারী নুরু পাগলের দরবারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিল তৌহিদী জনতা

আপডেট সময় ০৯:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মেহেদি’ দাবিকারী নুরুল হক ওরফে নুরু পাগলের দরবার ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় তৌহিদী জনতা। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল থেকে দরবারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় নুরু পাগলের কবর খুঁড়ে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভে নামেন মুসল্লিরা। তারা দরবারের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। তবে ঘটনার পরও বিক্ষুব্ধ জনতা আশপাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস। আহতদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান বলেন, “নুরু পাগলের বাড়ি ও দরবারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সময় আমার গাড়ি ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব রয়েছে।”

রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরু পাগল। পরে তাকে গোয়ালন্দ দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে কাবা শরীফের আদলে নির্মিত ১২ ফুট উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়। এরপর থেকেই স্থানীয় মুসল্লিরা কবর নিচু করা, রঙ পরিবর্তন ও “ইমাম মেহেদি দরবার শরীফ” লেখা সাইনবোর্ড অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।