ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু নির্বাচনে আলোচনায় তরুণ শিল্পী ইলা: জয়ী হলে চড়ুইভাতি আর বিয়ে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২৮ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আটটি কেন্দ্রে ভোট হবে। এ নির্বাচনে সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে লড়ছেন তরুণ শিল্পী ফারিয়া মতিন ইলা, যিনি ক্যাম্পাসে পরিচিত “ইলা লালালালা” নামে।

প্রচারণা শুরুর পর থেকেই ইলা রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ক্যাম্পাসে বিজয় উৎসব হিসেবে আয়োজন করবেন চড়ুইভাতির। সেখানে সবাই মিলে রান্নাবান্না করে খিচুড়ি-মাংস ও গান-বাজনায় মাতবেন শিক্ষার্থীরা। ভেজিটেরিয়ানদের জন্য থাকবে সবজি খিচুড়িও। শুধু তাই নয়, আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন— জয়ী হলে বিয়েও করবেন। ফেসবুকে লিখেছেন, “ডাকসু জিতলে পরদিনই বিয়ে করব ইনশাআল্লাহ। আমার শুভবিবাহের দাওয়াত। নিমন্ত্রণ খাইতে চাইলে আমাকে ডাকুসতে জিতান।”

ইলা ডিমোক্রেজি ক্লাউনস ব্যান্ডের ভোকালিস্ট। মাত্র এক বছরে ব্যান্ডটি পাঁচটি মৌলিক গান করেছে—‘আহুতি’, ‘সঙ্গতি’, ‘নির্বিকার’, ‘রাষ্ট্র’ ও ‘অচিরজীবীর প্রার্থনা’। গানগুলো রেকর্ড আকারে প্রকাশ না হলেও কনসার্ট ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক ক্যাম্পাস শো-তে গান গেয়েছেন তারা।

গণ-অভ্যুত্থানের পর ‘জরুরি সংযোগ’ কনসার্ট ও গত নভেম্বরের ‘আওয়াজ উডা’ কনসার্টে শিল্পকলা একাডেমিতেও পারফর্ম করেছেন ইলা।

সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পনা জানতে চাইলে ইলা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল এক্সচেঞ্জের জন্য অসাধারণ জায়গা। এখানে বিভিন্ন জেলার ছেলে-মেয়েরা আসে। আমি চাই, তারা যেন নিজের মাটির সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে পারে, সবাই যেন সবার সংস্কৃতি থেকে কিছু না কিছু গ্রহণ করে।”

যশোরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইলা ছোটবেলা থেকেই সেমি-ক্ল্যাসিক্যাল শিখেছেন। ছয় বছর বয়সে ঢাকায় আসার পর পড়াশোনা করেছেন সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিএএফ শাহীন কলেজে। শৈশব থেকে লালনসহ বিভিন্ন গান গাইলেও নবম শ্রেণিতে উঠার পর পারিবারিকভাবে গান বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর আবারও গানে ফেরেন এবং রাজনীতির পাশাপাশি সংগীতচর্চায় যুক্ত হন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মোহাম্মদ সাকিবের জন্য ভোট চাইলেন হাসনাত

ডাকসু নির্বাচনে আলোচনায় তরুণ শিল্পী ইলা: জয়ী হলে চড়ুইভাতি আর বিয়ে

আপডেট সময় ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আটটি কেন্দ্রে ভোট হবে। এ নির্বাচনে সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে লড়ছেন তরুণ শিল্পী ফারিয়া মতিন ইলা, যিনি ক্যাম্পাসে পরিচিত “ইলা লালালালা” নামে।

প্রচারণা শুরুর পর থেকেই ইলা রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ক্যাম্পাসে বিজয় উৎসব হিসেবে আয়োজন করবেন চড়ুইভাতির। সেখানে সবাই মিলে রান্নাবান্না করে খিচুড়ি-মাংস ও গান-বাজনায় মাতবেন শিক্ষার্থীরা। ভেজিটেরিয়ানদের জন্য থাকবে সবজি খিচুড়িও। শুধু তাই নয়, আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন— জয়ী হলে বিয়েও করবেন। ফেসবুকে লিখেছেন, “ডাকসু জিতলে পরদিনই বিয়ে করব ইনশাআল্লাহ। আমার শুভবিবাহের দাওয়াত। নিমন্ত্রণ খাইতে চাইলে আমাকে ডাকুসতে জিতান।”

ইলা ডিমোক্রেজি ক্লাউনস ব্যান্ডের ভোকালিস্ট। মাত্র এক বছরে ব্যান্ডটি পাঁচটি মৌলিক গান করেছে—‘আহুতি’, ‘সঙ্গতি’, ‘নির্বিকার’, ‘রাষ্ট্র’ ও ‘অচিরজীবীর প্রার্থনা’। গানগুলো রেকর্ড আকারে প্রকাশ না হলেও কনসার্ট ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক ক্যাম্পাস শো-তে গান গেয়েছেন তারা।

গণ-অভ্যুত্থানের পর ‘জরুরি সংযোগ’ কনসার্ট ও গত নভেম্বরের ‘আওয়াজ উডা’ কনসার্টে শিল্পকলা একাডেমিতেও পারফর্ম করেছেন ইলা।

সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পনা জানতে চাইলে ইলা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল এক্সচেঞ্জের জন্য অসাধারণ জায়গা। এখানে বিভিন্ন জেলার ছেলে-মেয়েরা আসে। আমি চাই, তারা যেন নিজের মাটির সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে পারে, সবাই যেন সবার সংস্কৃতি থেকে কিছু না কিছু গ্রহণ করে।”

যশোরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইলা ছোটবেলা থেকেই সেমি-ক্ল্যাসিক্যাল শিখেছেন। ছয় বছর বয়সে ঢাকায় আসার পর পড়াশোনা করেছেন সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিএএফ শাহীন কলেজে। শৈশব থেকে লালনসহ বিভিন্ন গান গাইলেও নবম শ্রেণিতে উঠার পর পারিবারিকভাবে গান বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর আবারও গানে ফেরেন এবং রাজনীতির পাশাপাশি সংগীতচর্চায় যুক্ত হন।