ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু, আহত ৪

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। হতাহত ব্যক্তিরা একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। মিরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি বাজার এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে তাঁদের মাইক্রোবাসটি ধাক্কা দিলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘটে এই দুর্ঘটনা। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা গোলাম সারোয়ার (৪৩) ও তাঁর তিন বছর বয়সের মেয়ে মুসকান। একই দুর্ঘটনায় গোলাম সারোয়ারের স্ত্রী উম্মে সালমা (৩৩), ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ (৯), গাড়িচালক গিয়াস উদ্দিন (৩০) ও সাগর (৩০) নামের এক সহকর্মী আহত হয়েছেন। গোলাম সারোয়ার একটি আসবাব তৈরির প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা সাহ্লাঞো মারমা জানান, সকালে ঠাকুরদীঘি বাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের পাশে থামিয়ে রাখা একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামমুখী কালো রঙের মাইক্রোবাসটি (নোয়াহ)। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ ছাড়া চারজনকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত গোলাম সরোয়ারের স্ত্রী উম্মে সালমা বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যানটির পেছনে ধাক্কা দেওয়ার পর বিকট শব্দে আমি অচেতন হয়ে পড়েছিলাম। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি, আমার স্বামী ও তিন বছরের মেয়েটা আর বেঁচে নেই। আমার ছেলেটাও আহত হয়েছে, সে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়ে। একটি দুর্ঘটনা আমার সাজানো সংসারটি তছনছ করে দিল।’ সড়ক দুর্ঘটনায় উম্মে সালমার স্বামী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নিজেও আহত হয়ে চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু সিংহ বলেন, আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন ও সাগর নামের দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উম্মে সালমা ও তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক বোরহান উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দুটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসটির চালক চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি খুন, দোকানের ফ্রিজে মিলল মরদেহ

মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু, আহত ৪

আপডেট সময় ১১:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। হতাহত ব্যক্তিরা একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। মিরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি বাজার এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে তাঁদের মাইক্রোবাসটি ধাক্কা দিলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘটে এই দুর্ঘটনা। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা গোলাম সারোয়ার (৪৩) ও তাঁর তিন বছর বয়সের মেয়ে মুসকান। একই দুর্ঘটনায় গোলাম সারোয়ারের স্ত্রী উম্মে সালমা (৩৩), ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ (৯), গাড়িচালক গিয়াস উদ্দিন (৩০) ও সাগর (৩০) নামের এক সহকর্মী আহত হয়েছেন। গোলাম সারোয়ার একটি আসবাব তৈরির প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা সাহ্লাঞো মারমা জানান, সকালে ঠাকুরদীঘি বাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের পাশে থামিয়ে রাখা একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামমুখী কালো রঙের মাইক্রোবাসটি (নোয়াহ)। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ ছাড়া চারজনকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত গোলাম সরোয়ারের স্ত্রী উম্মে সালমা বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যানটির পেছনে ধাক্কা দেওয়ার পর বিকট শব্দে আমি অচেতন হয়ে পড়েছিলাম। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি, আমার স্বামী ও তিন বছরের মেয়েটা আর বেঁচে নেই। আমার ছেলেটাও আহত হয়েছে, সে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়ে। একটি দুর্ঘটনা আমার সাজানো সংসারটি তছনছ করে দিল।’ সড়ক দুর্ঘটনায় উম্মে সালমার স্বামী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নিজেও আহত হয়ে চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু সিংহ বলেন, আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন ও সাগর নামের দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উম্মে সালমা ও তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক বোরহান উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দুটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসটির চালক চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।