ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়া উপকূলে সুদানি শরণার্থী বহনকারী নৌকায় আগুন, অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৩ বার পড়া হয়েছে

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, নৌকাটিতে মোট ৭৫ জন আরোহী ছিলেন, তাদের মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আইওএম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছে, সমুদ্রপথে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঠেকাতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এর আগে গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছিল এবং নিখোঁজ হয় আরও অনেকে।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, কেবল গত বছরই ভূমধ্যসাগরে অন্তত দুই হাজার ৪৫২ অভিবাসী বা শরণার্থী মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে। সমুদ্রপথে ইউরোপমুখী যাত্রায় এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রুট।

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর লিবিয়া ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় আট লাখ ৬৭ হাজার অভিবাসী অবস্থান করছে। গাদ্দাফির আমলে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় কাজ পেতেন, কিন্তু তার পতনের পর থেকে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়াদের সংঘাতে জর্জরিত।

এই দুর্ঘটনাও আফ্রিকা থেকে ইউরোপগামী শরণার্থীদের বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সর্বশেষ উদাহরণ। এর আগে গত আগস্টে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে জুনে লিবিয়া উপকূলে দুটি জাহাজডুবিতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয় বা নিখোঁজ হন।

অধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর দাবি, লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হন। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে অর্থ ও সরঞ্জাম সহায়তা দিয়ে আসছে, যদিও সেই কোস্টগার্ডের সঙ্গে নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়াদের সম্পর্কের অভিযোগও রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জ্বলে ওঠার আগেই নিভে গেলো বগুড়ার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র  সমু কর্মকারের জীবন প্রদীপ

লিবিয়া উপকূলে সুদানি শরণার্থী বহনকারী নৌকায় আগুন, অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, নৌকাটিতে মোট ৭৫ জন আরোহী ছিলেন, তাদের মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আইওএম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছে, সমুদ্রপথে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঠেকাতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এর আগে গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছিল এবং নিখোঁজ হয় আরও অনেকে।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, কেবল গত বছরই ভূমধ্যসাগরে অন্তত দুই হাজার ৪৫২ অভিবাসী বা শরণার্থী মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে। সমুদ্রপথে ইউরোপমুখী যাত্রায় এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রুট।

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর লিবিয়া ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় আট লাখ ৬৭ হাজার অভিবাসী অবস্থান করছে। গাদ্দাফির আমলে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় কাজ পেতেন, কিন্তু তার পতনের পর থেকে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়াদের সংঘাতে জর্জরিত।

এই দুর্ঘটনাও আফ্রিকা থেকে ইউরোপগামী শরণার্থীদের বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সর্বশেষ উদাহরণ। এর আগে গত আগস্টে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে জুনে লিবিয়া উপকূলে দুটি জাহাজডুবিতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয় বা নিখোঁজ হন।

অধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর দাবি, লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হন। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে অর্থ ও সরঞ্জাম সহায়তা দিয়ে আসছে, যদিও সেই কোস্টগার্ডের সঙ্গে নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়াদের সম্পর্কের অভিযোগও রয়েছে।