রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের শঙ্কায় আন্তর্জাতিক তেলবাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন খবরে তেলের দাম এক লাফে ১ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।
২১ মে, বুধবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি দাঁড়ায় ৬৬.১৭ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় ৭৯ সেন্ট বা ১.২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম বেড়ে ৬২.৮৫ ডলারে পৌঁছায়, যা ৮২ সেন্ট বা ১.৩ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, তাহলে ইরান তার তেল রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তাহলে শুধু ইরান নয়, বরং সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও তেল সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, ইরান ওপেকভুক্ত তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ, যারা প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে।
রয়টার্স আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের মজুদ কিছুটা বেড়েছে, তবে পেট্রল ও ডিজেলের মজুদ কমে যাওয়ায় বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এদিকে ওপেক প্লাসের উৎপাদন সীমিত রাখার আহ্বান অগ্রাহ্য করে কাজাখস্তান তেল উৎপাদন ২ শতাংশ বাড়িয়েছে, যার ফলে বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহের চাপও তৈরি হয়েছে।
এছাড়া, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার আলোচনা অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় এখনো কোনো কার্যকর সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি। ফলে তেলের বাজারে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।