হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুলতানপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ‘ম্যানেজ’ করার অভিযোগে ২ শিক্ষিকাকে শোকজ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
শোকজ পাওয়া ২ শিক্ষিকা হলেন – বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. শরীফা খাতুন (চ.দা.) ও সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস.এম. জাকিরুল হাসান স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়— গত বুধবার বিদ্যালয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিক মুজাহিদ মসি ও ত্রিপুরারী দেবনাথ ত্রিপুকে টাকা দেওয়ার মাধ্যমে ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করা হয়।
সাংবাদিকরা বারবার নিষেধ করার সত্ত্বেও তাদেরকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী গুরুতর অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের গাছ কাটা, আর্থিক অনিয়ম ও প্রশাসনিক অসঙ্গতি নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট ২ শিক্ষিকাকে সাত (৭) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হবিগঞ্জের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক না হলে বিভাগীয় মামলা হতে পারে। সাংবাদিকরা শিক্ষকদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং শিক্ষা উন্নয়নের সহযাত্রী।
অন্যদিকে বাংলা টাইমসের সাংবাদিক ত্রিপুরারী দেবনাথ ত্রিপুরা বলেন, ঘটনাটি পুরোপুরি যাচাই করা হয়নি। সহকারী শিক্ষিকার কোনো দোষ ছিল না, অথচ যিনি দায়ী তাকেই বাঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে। ম্যাডামরা অত্যন্ত ভদ্র। প্রকৃতপক্ষে শোকজ করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেছে।