ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ওড়না কোথায়’ বলে তরুণীকে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৫০ বার পড়া হয়েছে

‘ওড়না’ থাকা না থাকার প্রশ্ন তুলে এক তরুণীকে হেনস্থা করছেন কয়েকজন তরুণ। আর চারপাশ থেকে মোবাইলে সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

 

ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া ৩৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণীকে ঘিরে ‘মব’ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখানে কয়েকজন তরুণ ওই তরুণীর দিকে আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে তেড়ে যাচ্ছেন এবং ‘ওড়না’ প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন।

 

 

এ সময় ওই তরুণীকে লক্ষ্য করে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গিও প্রকাশ করেন একাধিক তরুণ। এমনকি ওই তরুণীর ধর্ম পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

 

 

তবে, ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওতে অভিযুক্ত, ভুক্তভোগি, ঘটনাস্থল ও ঘটনার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

এদিকে, ‘ওড়না’ ইস্যুতে তরুণীকে উত্যক্ত করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। তারা অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন।

 

এ নিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

 

ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘ওড়না কোথায়’ বলে যে ছেলেটা একজন নারীকে হ্যারাস করল, হ্যারাসমেন্টের দায়ে তাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা উচিত। নইলে অন্য অনেক উগ্রবাদী চিন্তার লোক এই কাজে আগ্রহী হবে। ‘ওড়না কোথায়/হিজাব কোথায়/নেকাব কোথায়’ ধরণের সকল উগ্রতা ও নোংরামির বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিকভাবে দাঁড়াতে হবে। বিশেষতঃ ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে। তাদের রাষ্ট্রকল্পে ওড়না/হিজাব/নিকাবে বাধ্যবাধকতা নাই বলে তারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে দাবি করেন। সেটার বাস্তবিকতাও আমরা দেখতে চাই।

 

অ্যাক্টিভিস্ট সাদিক মাহবুব ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, রাস্তায় এক নারী বুকে ওড়না না দেওয়ায় তাকে মব করে হেনস্তা করার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এর আগে জেমসের গানের কনসার্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিটা কাজ করা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের রেলিজিয়াস সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে। এই অপরাধগুলার জাস্টিফিকেশন একটাই এবং সেটা ব্যবহার করা হচ্ছে অপরাধকে জায়েজ করে নিতে। এই প্রতিটা ইস্যু প্রমাণ করে গ্রাউন্ড লেভেলে ইন্টারিম গভমেন্টের দুর্বলতাকে পুঁজি করে একটা গোষ্ঠী পার পেয়ে যাচ্ছে। যা হচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের বাসে ছাত্রশিবিরের স্টিকার, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

‘ওড়না কোথায়’ বলে তরুণীকে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল

আপডেট সময় ১০:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

‘ওড়না’ থাকা না থাকার প্রশ্ন তুলে এক তরুণীকে হেনস্থা করছেন কয়েকজন তরুণ। আর চারপাশ থেকে মোবাইলে সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

 

ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া ৩৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণীকে ঘিরে ‘মব’ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখানে কয়েকজন তরুণ ওই তরুণীর দিকে আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে তেড়ে যাচ্ছেন এবং ‘ওড়না’ প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন।

 

 

এ সময় ওই তরুণীকে লক্ষ্য করে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গিও প্রকাশ করেন একাধিক তরুণ। এমনকি ওই তরুণীর ধর্ম পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

 

 

তবে, ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওতে অভিযুক্ত, ভুক্তভোগি, ঘটনাস্থল ও ঘটনার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

এদিকে, ‘ওড়না’ ইস্যুতে তরুণীকে উত্যক্ত করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। তারা অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন।

 

এ নিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

 

ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘ওড়না কোথায়’ বলে যে ছেলেটা একজন নারীকে হ্যারাস করল, হ্যারাসমেন্টের দায়ে তাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা উচিত। নইলে অন্য অনেক উগ্রবাদী চিন্তার লোক এই কাজে আগ্রহী হবে। ‘ওড়না কোথায়/হিজাব কোথায়/নেকাব কোথায়’ ধরণের সকল উগ্রতা ও নোংরামির বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিকভাবে দাঁড়াতে হবে। বিশেষতঃ ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে। তাদের রাষ্ট্রকল্পে ওড়না/হিজাব/নিকাবে বাধ্যবাধকতা নাই বলে তারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে দাবি করেন। সেটার বাস্তবিকতাও আমরা দেখতে চাই।

 

অ্যাক্টিভিস্ট সাদিক মাহবুব ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, রাস্তায় এক নারী বুকে ওড়না না দেওয়ায় তাকে মব করে হেনস্তা করার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এর আগে জেমসের গানের কনসার্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিটা কাজ করা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের রেলিজিয়াস সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে। এই অপরাধগুলার জাস্টিফিকেশন একটাই এবং সেটা ব্যবহার করা হচ্ছে অপরাধকে জায়েজ করে নিতে। এই প্রতিটা ইস্যু প্রমাণ করে গ্রাউন্ড লেভেলে ইন্টারিম গভমেন্টের দুর্বলতাকে পুঁজি করে একটা গোষ্ঠী পার পেয়ে যাচ্ছে। যা হচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে না।