ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন অভিযোগে সরব হ্যাপি: স্বামী মুফতি তালহার বিরুদ্ধে বহু বিবাহ ও নির্যাতনের অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০১:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচনায় আসা মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি আবারও খবরের শিরোনামে। এবার তিনি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে ‘আমাতুল্লাহ’ নামে পরিচিত হ্যাপি দাবি করেছেন, তার স্বামী এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন এবং তাকে অর্থ ও বহু বিবাহ প্রচারে জোর করতেন।

সম্প্রতি নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্টে হ্যাপি একাধিক দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১২ মে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী তালহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

অর্থনৈতিক নির্যাতনের অভিযোগ

হ্যাপি লেখেন, “স্বামী তার রেস্টুরেন্টের নতুন শাখা খোলার জন্য আমার কাছে টাকা চাইতেন। না দিলে তালাকের হুমকি দিতেন। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল সন্তান নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার হুমকি।” তিনি আরও জানান, পাঠাও কুরিয়ার অ্যাপে তার ৪০ লক্ষ টাকার বেশি পণ্য বিক্রি হলেও সেই টাকায় সংসার চলত এবং তালহা বারবার অর্থ দাবি করতেন।

দায়িত্বহীনতা ও ব্যবসায়িক ব্যর্থতা

তিনি দাবি করেন, “তালহার ব্যবসায়িক অবস্থা খুবই খারাপ। তার রেস্টুরেন্ট প্রতিনিয়ত লস খাচ্ছে। অথচ সে সারাদিন ঘুমিয়ে থাকে, রেস্টুরেন্টের কোনও খোঁজও রাখে না।”

বহু বিবাহ ও প্রতারণা

সাবেক এই অভিনেত্রীর অভিযোগ, “তালহা অন্তত ৯টি বিয়ে করেছেন। কিছু বিয়েতে গর্ভধারণের পর নারীদের জোর করে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছেন। অনেক বিয়েই ছিল রেজিস্ট্রেশনবিহীন, যাতে প্রমাণ না থাকে।” তিনি আরও বলেন, তালহার পরিবার এমন একজন মহিলাকে সহায়তা করেছে, যিনি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তালহার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

একাধিক বিবাহ প্রচারে বাধ্য করার অভিযোগ

একাধিক বিবাহ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে হ্যাপি জানান, তিনি ইসলামী বিধান হিসেবে একাধিক বিবাহকে অসম্মান করেন না, বরং নির্দিষ্ট শর্তে সেটাকে সমর্থন করেন। তবে তালহার প্ররোচনায় তাকে ফেসবুকে বারবার বহু বিবাহের পক্ষে পোস্ট দিতে বাধ্য করা হতো।

তিনি লেখেন, “তালহা সামনে বসে বলতেন আর আমাকে লিখতে হতো। বলতেন, ‘তোমার ফেসবুক আইডিতে ফলোয়ার বেশি, তাই বেশি মানুষের কাছে প্রচার হবে। আমি বলছি, তাই তুমি করবা।’ এটা ছিল আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদ ছুটির ভারসাম্যে আগামীকাল শনিবার খোলা থাকবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নতুন অভিযোগে সরব হ্যাপি: স্বামী মুফতি তালহার বিরুদ্ধে বহু বিবাহ ও নির্যাতনের অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচনায় আসা মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি আবারও খবরের শিরোনামে। এবার তিনি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে ‘আমাতুল্লাহ’ নামে পরিচিত হ্যাপি দাবি করেছেন, তার স্বামী এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন এবং তাকে অর্থ ও বহু বিবাহ প্রচারে জোর করতেন।

সম্প্রতি নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্টে হ্যাপি একাধিক দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১২ মে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী তালহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

অর্থনৈতিক নির্যাতনের অভিযোগ

হ্যাপি লেখেন, “স্বামী তার রেস্টুরেন্টের নতুন শাখা খোলার জন্য আমার কাছে টাকা চাইতেন। না দিলে তালাকের হুমকি দিতেন। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল সন্তান নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার হুমকি।” তিনি আরও জানান, পাঠাও কুরিয়ার অ্যাপে তার ৪০ লক্ষ টাকার বেশি পণ্য বিক্রি হলেও সেই টাকায় সংসার চলত এবং তালহা বারবার অর্থ দাবি করতেন।

দায়িত্বহীনতা ও ব্যবসায়িক ব্যর্থতা

তিনি দাবি করেন, “তালহার ব্যবসায়িক অবস্থা খুবই খারাপ। তার রেস্টুরেন্ট প্রতিনিয়ত লস খাচ্ছে। অথচ সে সারাদিন ঘুমিয়ে থাকে, রেস্টুরেন্টের কোনও খোঁজও রাখে না।”

বহু বিবাহ ও প্রতারণা

সাবেক এই অভিনেত্রীর অভিযোগ, “তালহা অন্তত ৯টি বিয়ে করেছেন। কিছু বিয়েতে গর্ভধারণের পর নারীদের জোর করে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছেন। অনেক বিয়েই ছিল রেজিস্ট্রেশনবিহীন, যাতে প্রমাণ না থাকে।” তিনি আরও বলেন, তালহার পরিবার এমন একজন মহিলাকে সহায়তা করেছে, যিনি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তালহার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

একাধিক বিবাহ প্রচারে বাধ্য করার অভিযোগ

একাধিক বিবাহ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে হ্যাপি জানান, তিনি ইসলামী বিধান হিসেবে একাধিক বিবাহকে অসম্মান করেন না, বরং নির্দিষ্ট শর্তে সেটাকে সমর্থন করেন। তবে তালহার প্ররোচনায় তাকে ফেসবুকে বারবার বহু বিবাহের পক্ষে পোস্ট দিতে বাধ্য করা হতো।

তিনি লেখেন, “তালহা সামনে বসে বলতেন আর আমাকে লিখতে হতো। বলতেন, ‘তোমার ফেসবুক আইডিতে ফলোয়ার বেশি, তাই বেশি মানুষের কাছে প্রচার হবে। আমি বলছি, তাই তুমি করবা।’ এটা ছিল আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে।”