ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরে বিরত থাকার কারণ জানালেন আখতার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৪৬ বার পড়া হয়েছে

ঐতিহাসিক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে এতে অংশ নেয়নি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর কারণ জানিয়েছেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

 

 

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে অংশ না নেওয়ার কারণ জানান তিনি।

 

 

 

তিনি বলেন, জুলাই সনদের বেশ অনেকগুলো দিক নিয়ে স্বাক্ষরের আগেই সরকারের দিক থেকে নিশ্চিত হতে চাইলেও সনদ ‘বাস্তবায়নের পথটাই’ অনুল্লেখ থেকে যায়। সনদে ধোঁয়াশা থাকলে আমাদের সব অর্জন বিফলে যাবে। এজন্য আমরা আজকের সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছি।

 

 

 

আখতার হোসেন বলেন, সনদের বিষয়ে অমীমাংসিত দিকগুলোর সমাধান না হলে ‘জনগণকে সাথে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হবে। সনদ ঘিরে সক্রিয় ভূমিকা থাকলেও এখন যেসব অর্জন রয়েছে, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার বিস্তারিত যেন জনগণের সামনে প্রকাশ করা হয় বলেও দাবি জানান তিনি।

 

 

 

তিনি বলেন, আমরা যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছি, সনদে যতটুকু অর্জিত হয়েছে সেটাকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন, সনদের ড্রাফট আদেশের প্রাপ্তি, গণভোটের বিষয়ে ফয়সালা, নোট অফ ডিসেন্টের (আপত্তি) জায়গাগুলো পরিষ্কার করা– এসব বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলাপ অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করব।

 

 

 

এর আগে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) না থাকাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এনসিপির বিচক্ষণতার অভাব রয়েছে।

 

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনায়, ঐকমত্য কমিশনে যে আলোচনা হয়েছে, তারা প্রায় সব ব্যাপারে পজিটিভ ছিল। যে ব্যাপারটাতে সমস্যা আছে সেটা আলোচনার মাধ্যমে… পরেও তারা এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারত… সেটা নিয়ে আমরা পরে আরও বসতে পারতাম, কথা বলতে পারতাম। আমি মনে করি যে, এটা বিচক্ষণতার অভাবে হয়েছে। নাহলে তারা অবশ্যই এটা আজকে সই করত।

 

 

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা বিভক্তি নয়। তারা ভুল বুঝতে পারবে এবং সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছাবে। বিতর্কের জায়গা রয়ে গেল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কখনো কোনো দেশেই, কোনো কালেই পিছু ছাড়বে না। আর দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের স্বভাব হচ্ছে যে, আমরা বিতর্ক করতে খুব পছন্দ করি। তবে সবকিছুর মধ্যেই যা হয়েছে, তা ‘গ্রেট এচিভমেন্ট’ বা বড় অর্জন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে গুলি করে হত্যা: ৫ দফা দাবিতে এনসিপির মশাল মিছিল শনিবার

জুলাই সনদ স্বাক্ষরে বিরত থাকার কারণ জানালেন আখতার

আপডেট সময় ১০:০৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

ঐতিহাসিক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে এতে অংশ নেয়নি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর কারণ জানিয়েছেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

 

 

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে অংশ না নেওয়ার কারণ জানান তিনি।

 

 

 

তিনি বলেন, জুলাই সনদের বেশ অনেকগুলো দিক নিয়ে স্বাক্ষরের আগেই সরকারের দিক থেকে নিশ্চিত হতে চাইলেও সনদ ‘বাস্তবায়নের পথটাই’ অনুল্লেখ থেকে যায়। সনদে ধোঁয়াশা থাকলে আমাদের সব অর্জন বিফলে যাবে। এজন্য আমরা আজকের সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছি।

 

 

 

আখতার হোসেন বলেন, সনদের বিষয়ে অমীমাংসিত দিকগুলোর সমাধান না হলে ‘জনগণকে সাথে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হবে। সনদ ঘিরে সক্রিয় ভূমিকা থাকলেও এখন যেসব অর্জন রয়েছে, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার বিস্তারিত যেন জনগণের সামনে প্রকাশ করা হয় বলেও দাবি জানান তিনি।

 

 

 

তিনি বলেন, আমরা যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছি, সনদে যতটুকু অর্জিত হয়েছে সেটাকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন, সনদের ড্রাফট আদেশের প্রাপ্তি, গণভোটের বিষয়ে ফয়সালা, নোট অফ ডিসেন্টের (আপত্তি) জায়গাগুলো পরিষ্কার করা– এসব বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলাপ অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করব।

 

 

 

এর আগে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) না থাকাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এনসিপির বিচক্ষণতার অভাব রয়েছে।

 

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনায়, ঐকমত্য কমিশনে যে আলোচনা হয়েছে, তারা প্রায় সব ব্যাপারে পজিটিভ ছিল। যে ব্যাপারটাতে সমস্যা আছে সেটা আলোচনার মাধ্যমে… পরেও তারা এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারত… সেটা নিয়ে আমরা পরে আরও বসতে পারতাম, কথা বলতে পারতাম। আমি মনে করি যে, এটা বিচক্ষণতার অভাবে হয়েছে। নাহলে তারা অবশ্যই এটা আজকে সই করত।

 

 

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা বিভক্তি নয়। তারা ভুল বুঝতে পারবে এবং সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছাবে। বিতর্কের জায়গা রয়ে গেল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কখনো কোনো দেশেই, কোনো কালেই পিছু ছাড়বে না। আর দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের স্বভাব হচ্ছে যে, আমরা বিতর্ক করতে খুব পছন্দ করি। তবে সবকিছুর মধ্যেই যা হয়েছে, তা ‘গ্রেট এচিভমেন্ট’ বা বড় অর্জন বলে উল্লেখ করেন তিনি।