ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ভারতে আটক ৩০ বাংলাদেশি পাচার–শিকারকে ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোলে হস্তান্তর করছে ভারত’

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

 

ভালো কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় মানবপাচারের শিকার হওয়া ৩০ বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারতীয় পুলিশ। এদের মধ্যে আছেন ১৯ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট থেকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃঞ্চ মল্লিক।

ফেরত আসা নারী-পুরুষদের আইনি সহায়তা এবং প্রাথমিক পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেবে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার। পরে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন—আলাল মন্ডল, ইউছুপ শেখ, রমজান শেখ, রাজু শেখ, মলয় মন্ডল, সুদিপ্ত মন্ডল, নাজিম উদ্দীন, ইয়াসিন, সোহেল সরদার, আরমান মোল্লা, তামিম গাইন, রিফাত হাসান, আব্দুল্লা শেখ, করিমুল খান, সিয়াম মল্লিক, আনোয়ার হোসেন, সপ্না মন্ডল, শাহিন রেজা, অহনা শেখ, রুবি সরদার, মিম খাতুন, শারমিন আলী, টুমবপা পারভিন, সাভা খান, রাবেয়া খাতুন, ঝরনা খাতুন, সামসুর নাহার ও রাজিব ইসলাম। তাদের বাড়ি রংপুর, ঠাকুরগাঁও, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় তারা আটক হয়েছিল। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে তাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশু-কিশোরদের আইনি সহায়তা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত মানবাধিকার সংগঠনগুলো হেফাজতে রাখবে।

তিনি আরও জানান, পাচার রোধে নানা উদ্যোগ থাকলেও এখনো থেমে নেই মানবপাচারকারীদের তৎপরতা। কখনো ভালো চাকরির প্রলোভন, কখনো প্রেমের ফাঁদ—এই কৌশলে নারী-শিশুদের ভারতে পাচার করা হচ্ছে। সেখানে তাদের বাধ্য করা হয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বা বিক্রি করে দেওয়া হয় বিভিন্ন দালালচক্রের কাছে। পাচারের শিকারদের মাত্র পাঁচ শতাংশ উদ্ধারের তথ্য পাওয়া যায়; বাকি অনেকেরই কোনো হদিস মেলে না।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হোমে আটক অবস্থায় কেউ কেউ দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত থাকতে বাধ্য হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দুই দেশের সমন্বয়ে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পেলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে: রুমিন ফারহানা

‘ভারতে আটক ৩০ বাংলাদেশি পাচার–শিকারকে ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোলে হস্তান্তর করছে ভারত’

আপডেট সময় ১০:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

 

ভালো কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় মানবপাচারের শিকার হওয়া ৩০ বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারতীয় পুলিশ। এদের মধ্যে আছেন ১৯ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট থেকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃঞ্চ মল্লিক।

ফেরত আসা নারী-পুরুষদের আইনি সহায়তা এবং প্রাথমিক পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেবে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার। পরে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন—আলাল মন্ডল, ইউছুপ শেখ, রমজান শেখ, রাজু শেখ, মলয় মন্ডল, সুদিপ্ত মন্ডল, নাজিম উদ্দীন, ইয়াসিন, সোহেল সরদার, আরমান মোল্লা, তামিম গাইন, রিফাত হাসান, আব্দুল্লা শেখ, করিমুল খান, সিয়াম মল্লিক, আনোয়ার হোসেন, সপ্না মন্ডল, শাহিন রেজা, অহনা শেখ, রুবি সরদার, মিম খাতুন, শারমিন আলী, টুমবপা পারভিন, সাভা খান, রাবেয়া খাতুন, ঝরনা খাতুন, সামসুর নাহার ও রাজিব ইসলাম। তাদের বাড়ি রংপুর, ঠাকুরগাঁও, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় তারা আটক হয়েছিল। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে তাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশু-কিশোরদের আইনি সহায়তা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত মানবাধিকার সংগঠনগুলো হেফাজতে রাখবে।

তিনি আরও জানান, পাচার রোধে নানা উদ্যোগ থাকলেও এখনো থেমে নেই মানবপাচারকারীদের তৎপরতা। কখনো ভালো চাকরির প্রলোভন, কখনো প্রেমের ফাঁদ—এই কৌশলে নারী-শিশুদের ভারতে পাচার করা হচ্ছে। সেখানে তাদের বাধ্য করা হয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বা বিক্রি করে দেওয়া হয় বিভিন্ন দালালচক্রের কাছে। পাচারের শিকারদের মাত্র পাঁচ শতাংশ উদ্ধারের তথ্য পাওয়া যায়; বাকি অনেকেরই কোনো হদিস মেলে না।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হোমে আটক অবস্থায় কেউ কেউ দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত থাকতে বাধ্য হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দুই দেশের সমন্বয়ে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পেলেন।