ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সচিবালয়ে দপ্তর ছেড়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল

এবার ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। রোববার (২৫ মে) সকাল থেকে সচিবালয়ের ভেতরে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নেমে এসে বিক্ষোভে অংশ নেন।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের সামনে ঘুরে বেড়ায় এবং ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’ ‘নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশ বাতিল করো’- এই ধরনের নানা স্লোগান দিতে থাকেন কর্মচারীরা। অংশগ্রহণকারীরা জানান, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে এমন কিছু ধারা সংযোজন করা হয়েছে, যা তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে এবং চাকরির নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলবে।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধনের মাধ্যমে নতুন অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। খসড়ায় ৪৫ বছর আগের কিছু বিশেষ বিধান পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংযুক্ত পরিষদের নেতারা বলেন, ‘এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের যেকোনো সময় শাস্তি দেওয়া বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এটি একটি নিবর্তনমূলক কালাকানুন, যা সংবিধানবিরোধী। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে এই খসড়া বাতিলের দাবি করছি।’ কর্মচারীদের পক্ষ থেকে খসড়াটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর রূপ নিতে পারে বলেও জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার পছন্দের লোক নিয়োগ দিয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে: ইশরাক

সচিবালয়ে দপ্তর ছেড়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট সময় ০১:০০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

এবার ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। রোববার (২৫ মে) সকাল থেকে সচিবালয়ের ভেতরে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নেমে এসে বিক্ষোভে অংশ নেন।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের সামনে ঘুরে বেড়ায় এবং ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’ ‘নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশ বাতিল করো’- এই ধরনের নানা স্লোগান দিতে থাকেন কর্মচারীরা। অংশগ্রহণকারীরা জানান, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে এমন কিছু ধারা সংযোজন করা হয়েছে, যা তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে এবং চাকরির নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলবে।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধনের মাধ্যমে নতুন অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। খসড়ায় ৪৫ বছর আগের কিছু বিশেষ বিধান পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংযুক্ত পরিষদের নেতারা বলেন, ‘এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের যেকোনো সময় শাস্তি দেওয়া বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এটি একটি নিবর্তনমূলক কালাকানুন, যা সংবিধানবিরোধী। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে এই খসড়া বাতিলের দাবি করছি।’ কর্মচারীদের পক্ষ থেকে খসড়াটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর রূপ নিতে পারে বলেও জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।