ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ১০তলা থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা—উঠেছে প্রশ্ন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৩৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬০৯ বার পড়া হয়েছে

 

রাজধানীর বাড্ডা আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির একটি ভবন থেকে পড়ে মুসফিকুজ্জামান (২৪) নামে প্রথম বর্ষের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ফরাস উদ্দিন ভবন ও মূল ভবনের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ক্লাস থেকে বের হওয়ার পর কিছুক্ষণ পরই দুই ভবনের মাঝখানে মুসফিকুজ্জামানের মরদেহ দেখতে পান কয়েকজন শিক্ষার্থী। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের চাচা মনিরুজ্জামান মনির জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার পাচগাঁও গ্রামে। ঢাকায় খিলগাঁও এলাকায় বাবা–মায়ের সঙ্গে থাকতেন মুসফিকুজ্জামান। তিনি দাবি করেন, “সে কোনোভাবেই লাফিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে কেউ ফেলে দিয়েছে, নাকি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেছে—তা তদন্ত করে বের করতে হবে।”

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীটি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রস্তুত তারেক রহমানের বাসভবন ও অফিস

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ১০তলা থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা—উঠেছে প্রশ্ন

আপডেট সময় ০৭:৩৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

 

রাজধানীর বাড্ডা আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির একটি ভবন থেকে পড়ে মুসফিকুজ্জামান (২৪) নামে প্রথম বর্ষের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ফরাস উদ্দিন ভবন ও মূল ভবনের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ক্লাস থেকে বের হওয়ার পর কিছুক্ষণ পরই দুই ভবনের মাঝখানে মুসফিকুজ্জামানের মরদেহ দেখতে পান কয়েকজন শিক্ষার্থী। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের চাচা মনিরুজ্জামান মনির জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার পাচগাঁও গ্রামে। ঢাকায় খিলগাঁও এলাকায় বাবা–মায়ের সঙ্গে থাকতেন মুসফিকুজ্জামান। তিনি দাবি করেন, “সে কোনোভাবেই লাফিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে কেউ ফেলে দিয়েছে, নাকি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেছে—তা তদন্ত করে বের করতে হবে।”

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীটি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।