স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম রাফি (২০) মা নুসরাত জাহান নিপাকে নিয়ে নাশতা কিনতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে রাজধানীর বংশালের কসাইটুলি এলাকায় হঠাৎ একটি ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে তাদের ওপর আছড়ে পড়ে।
গুরুতর আহত অবস্থায় রাফি ও নুসরাতকে দ্রুত উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত নুসরাত জাহানকে আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি এখনো জানেন না যে তাঁর একমাত্র সন্তান আর বেঁচে নেই। চিকিৎসকদের মতে, মাথায় গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে সেলাই দিতে হয়েছে; তার অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও ২৪ ঘণ্টা লাগবে।
হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহারুল ইসলাম খান জানান, মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনায় রাফির মৃত্যুর খবর আপাতত গোপন রাখা হয়েছে।
পরিবারের সঙ্গে কসাইটুলি এলাকার একটি বাসায় থাকতেন রাফি। বাবা ওসমান গনির সন্তান রাফি রোববার শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ ডা. মাজহারুল শাহীন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুসরাত জাহান বারবার ছেলের খোঁজ চাইছেন। তাকে বলা হয়েছে, রাফি চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু তিনি আশ্বস্ত হতে পারছেন না; বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
একই ঘটনায় রাফি ছাড়াও আরও দুইজন নিহত হয়েছেন—কাপড় ব্যবসায়ী আবদুর রহিম (৪৫) এবং তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১১)। সুরিটোলায় থাকা রহিম ছেলে মেহরাবকে নিয়ে মাংস কেনার জন্য কসাইটুলিতে গিয়েছিলেন।


























