ভূমিকম্পে যেখানে কেউ নিজের সন্তানকে ফেলে পালানোর ঘটনায় সমালোচিত হয়েছেন, সেখানে পুরো উল্টো দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রাবা আইডিয়াল ক্রিয়েটিভ মাদরাসায়। ভূমিকম্প শুরুর মুহূর্তে ছাত্রদের রেখে না গিয়ে বরং নিজে ঝুঁকি নিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করেছেন হেফজ শাখার সহকারী শিক্ষক হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভূমিকম্পের সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দরজার কাছে বিছানায় শুয়ে মোবাইলে কিছু করছিলেন। হঠাৎ ভবন কাঁপতে শুরু করলে তিনি প্রথমেই রুম ছাড়েননি; বরং দ্রুত ছাত্রদের বিছানার দিকে ছুটে যান। দুই শিক্ষার্থীকে খাট থেকে নামিয়ে নিরাপদ জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাঁকে।
এরপর আরও দুই শিক্ষার্থী দৌঁড়ে এলে তিনি একটি কোলবালিশ তুলে নিয়ে তাদের মাথা সুরক্ষায় রাখেন। ঝাঁকুনি কমে গেলে চার শিক্ষার্থীকে নিয়ে ধীরে ধীরে রুম থেকে বেরিয়ে আসেন শিক্ষক শফিকুল।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। অনেকেই এই দৃশ্যের সঙ্গে সুপার শপে ভূমিকম্পের সময় সন্তানকে ফেলে বাবার দৌড়ে পালানোর ভিডিওটির তুলনা টেনে লিখছেন—“শিক্ষকের মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
বাংলাভিশনকে তিনি বলেন, “হিফজ বিভাগের বাচ্চারা শিক্ষকদের কাছেই থাকে। তাদের যত্ন নেওয়া, আগলে রাখা আমাদের দায়িত্ব। তাই আমি আমার সাধ্যমতো তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “এই শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের কাছে আমানত। সেই আমানত রক্ষার দায় থেকেই ঝুঁকি নিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।”


























