ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ডে ‘মৃত’ ঘোষিত নারী কফিনের ভেতর নড়ে উঠলেন—চার ঘণ্টা পর মিলল জীবনের সাড়া

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৪০ বার পড়া হয়েছে

প্রায় দুই বছর শয্যাশায়ী থাকার পর আচমকা অচেতন হয়ে পড়েছিলেন থাইল্যান্ডের ফিটসানুলোক প্রদেশের এক নারী। পরিবার ভেবেছিল তিনি মারা গেছেন। তাই নিয়মমাফিক তাকে কফিনে শায়িত করে ব্যাংককের কাছে দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে সৎকার-সুবিধা পাওয়া এক মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়—যা তাদের বাড়ি থেকে চার ঘণ্টার পথ।

কিন্তু সৎকারের প্রস্তুতি চলাকালে হঠাৎ কফিনের ভেতর থেকে ক্ষীণ শব্দ ভেসে আসে। হতবাক পরিবার ও মন্দিরের কর্মীরা কফিন খুলে দেখেন—নারীটি কাঁপছেন এবং মুখের সামনে ভনভন করা মাছি তাড়াচ্ছেন। এই অবিশ্বাস্য দৃশ্য একটি ভিডিওতেও ধরা পড়ে।

নারীর ভাই মঙ্গকোল জানান, তারা মৃত্যু-সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র সংগ্রহও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু বোনকে জীবিত দেখে তিনি আনন্দে অভিভূত। কফিন বহনের দায়িত্বে থাকা মন্দির কর্মী থম্মানুন বলেন, প্রধান হলে নেওয়ার ঠিক আগেই ভেতর থেকে সাহায্যের আবেদন শুনতে পান তিনি।

চিকিৎসকেরা পরে জানান—নারীর মৃত্যু হয়নি; বরং রক্তে শর্করার মাত্রা বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়ায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। নিশ্বাসও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

জনপ্রিয় সংবাদ

জেনেভায় রোহিঙ্গা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডে ‘মৃত’ ঘোষিত নারী কফিনের ভেতর নড়ে উঠলেন—চার ঘণ্টা পর মিলল জীবনের সাড়া

আপডেট সময় ০৩:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রায় দুই বছর শয্যাশায়ী থাকার পর আচমকা অচেতন হয়ে পড়েছিলেন থাইল্যান্ডের ফিটসানুলোক প্রদেশের এক নারী। পরিবার ভেবেছিল তিনি মারা গেছেন। তাই নিয়মমাফিক তাকে কফিনে শায়িত করে ব্যাংককের কাছে দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে সৎকার-সুবিধা পাওয়া এক মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়—যা তাদের বাড়ি থেকে চার ঘণ্টার পথ।

কিন্তু সৎকারের প্রস্তুতি চলাকালে হঠাৎ কফিনের ভেতর থেকে ক্ষীণ শব্দ ভেসে আসে। হতবাক পরিবার ও মন্দিরের কর্মীরা কফিন খুলে দেখেন—নারীটি কাঁপছেন এবং মুখের সামনে ভনভন করা মাছি তাড়াচ্ছেন। এই অবিশ্বাস্য দৃশ্য একটি ভিডিওতেও ধরা পড়ে।

নারীর ভাই মঙ্গকোল জানান, তারা মৃত্যু-সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র সংগ্রহও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু বোনকে জীবিত দেখে তিনি আনন্দে অভিভূত। কফিন বহনের দায়িত্বে থাকা মন্দির কর্মী থম্মানুন বলেন, প্রধান হলে নেওয়ার ঠিক আগেই ভেতর থেকে সাহায্যের আবেদন শুনতে পান তিনি।

চিকিৎসকেরা পরে জানান—নারীর মৃত্যু হয়নি; বরং রক্তে শর্করার মাত্রা বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়ায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। নিশ্বাসও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান