ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফাইল আটকে অর্থ আদায় ও অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬০৫ বার পড়া হয়েছে

 

ফাইল আটকে অর্থ আদায়, হয়রানি এবং কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে খালিশপুরে অবস্থিত বিভাগীয় কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

অভিযানে ফাইল আটকে রেখে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত ফাইল জব্দ করা হয়েছে। এসব ফাইল যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদক।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গৃহায়ণ অফিসে প্লট বরাদ্দ, হস্তান্তর এবং পুনর্নির্মাণের আবেদনকারীদের হয়রানি করা হয় এমন অভিযোগ ছিল। একইসঙ্গে এসব ফাইল আটকে রেখে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হতো। অভিযানের সময় আমরা ফাইলপত্র পর্যালোচনা করি। পাঁচজন গ্রাহকের নাম পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ফাইল আড়াই মাস ধরে পেন্ডিং ছিল। সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহককে ফোন করি। তিনি স্বীকার করেন যে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়েছিল এবং তা দিতে না পারায় তার ফাইল আটকে রাখা হয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

তিনি আরও বলেন, গৃহায়ণ অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ (এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার) চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ওই সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র আমরা সংগ্রহ করেছি। তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সমর্থকদের কাছে নির্বাচনের খরচ চাইলেন তাসনিম জারা

ফাইল আটকে অর্থ আদায় ও অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

আপডেট সময় ১১:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

 

ফাইল আটকে অর্থ আদায়, হয়রানি এবং কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে খালিশপুরে অবস্থিত বিভাগীয় কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

অভিযানে ফাইল আটকে রেখে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত ফাইল জব্দ করা হয়েছে। এসব ফাইল যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদক।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গৃহায়ণ অফিসে প্লট বরাদ্দ, হস্তান্তর এবং পুনর্নির্মাণের আবেদনকারীদের হয়রানি করা হয় এমন অভিযোগ ছিল। একইসঙ্গে এসব ফাইল আটকে রেখে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হতো। অভিযানের সময় আমরা ফাইলপত্র পর্যালোচনা করি। পাঁচজন গ্রাহকের নাম পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ফাইল আড়াই মাস ধরে পেন্ডিং ছিল। সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহককে ফোন করি। তিনি স্বীকার করেন যে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়েছিল এবং তা দিতে না পারায় তার ফাইল আটকে রাখা হয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

তিনি আরও বলেন, গৃহায়ণ অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ (এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার) চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ওই সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র আমরা সংগ্রহ করেছি। তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।