এবার সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সন্তান ও তাদের পরিবারের একটা টাকা বা একটা সম্পত্তিও বাংলাদেশের বাইরে না। বাংলাদেশের বাইরে এ পরিবারের কোনো ঠিকানা নেই। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানের পক্ষে হাইকোর্টে আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার (২৬ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এ আইনজীবী।
এর আগে এ সংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ আপিলের রায় ঘোষণার জন্য ২৮ মে দিন ঠিক করেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল, জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও মো. মাকসুদ উল্লাহ্।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, দুদিন শুনানি শেষে কালকের পর, বুধবার রায়ের জন্য রেখেছেন। যে সম্পত্তিগুলো তারেক রহমানের নামে দেখানো হয়েছে, একটাও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত নয়, অসাধু নয়। একটা টাকা বা একটা সম্পত্তিও বাংলাদেশের বাইরে না। বাংলাদেশের বাইরে এ পরিবারের কোনো ঠিকানা নেই।
তিনি আরও বলেন, সেনানিবাসে মইনুল রোডের বাড়িটি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও এ মামলায় দুদক বলছে, তারেক রহমানের অর্জিত সম্পদ এবং অবৈধ সম্পদ। অথচ এটা সরকার নিয়মকানুন মেনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আরেকটা সম্পতি আছে গুলশানে। সেটাও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া। ৩৩ টাকা মূল্যমানের। অথচ মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারের নামে এরকম প্রহসন আমি আমার ওকালতি জীবনে দেখিনি।
তারেক রহমানের খালাস প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আদালতে বলেছি জুবাইদা রহমানের আপিল সামনে রয়েছে। তিনি আইন মেনে যথাযথভাবে আপিল করেছেন। আমাদের এখানে নজির আছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলা, গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের আপিল ছিল না। কিন্তু আমরা প্রধান বিচারপতির আদালতে আবেদন করেছিলাম, যদি মামলায় প্রমাণ না হয় তাহলে যিনি আপিল করতে পারেননি, আপিলকারীকে যদি খালাস দেন সেটা তার বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। সে প্রার্থনা আদালত রেখেছেন। এরই মধ্যে তিন-চারটি মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন।
আইনজীবী বলেন, আমরা বলেছি জুবাইদা রহমানের আপিল শুনতে গিয়ে যদি দেখেন যে তারেক রহমানের কোনো সম্পত্তি অসদুপায়ে অর্জিত নয়, তার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত নয়, যদি জুবাইদা রহমান খালাস পান, এ খালাসের বেনিফিট আপিল না করলেও তারেক রহমানকে দিতে পারেন। দেওয়ার নজির আছে। কোর্ট তখন বললো সেগুলো দিতে। আমরা আগামীকাল সেগুলো দাখিল করবো। আশা করি ন্যায়বিচার পাবো। জুবাইদা রহমান খালাস পাবেন এবং উনার স্বামী তারেক রহমানও খালাস পাবেন বলে আশা করি।