ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ বছর পর ফের চালু হচ্ছে ঢাকা-করাচি ফ্লাইট

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে

প্রায় ১৩ বছর বন্ধ থাকার পর আগামী জানুয়ারি থেকে ঢাকা–করাচি–ঢাকা রুটে আবারও সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ হওয়া আকাশপথটি পুনরায় চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। বিমানের আগামী বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হবে।

ঢাকা-করাচি একসময় ব্যবসা, শিক্ষা ও শ্রমবাজারের জন্য একটি লাভজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ রুট ছিল। সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ট্রানজিট নিতে হওয়ায় সময় ও ভাড়া উভয়ই বেড়ে গিয়েছিল। আবার চালু হলে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, যা দুই দেশের বাণিজ্য, শ্রমবাজার, ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ বাড়াতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।

বেবিচক জানায়, যাত্রী চাহিদা, করাচির শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রুটটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক ও পাকিস্তান সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক নাদির শাফি দারের বৈঠকেও ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দু’টি ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। যাত্রী বৃদ্ধি পেলে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে ফ্লাইট চালু করতে সিভিল অ্যাভিয়েশনের পাশাপাশি করাচির জিন্নাহ এয়ারপোর্টের আলাদা অনুমতি প্রয়োজন হওয়ায় সময় কিছুটা বেশি লাগছে। রুটটি পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে বোয়িং ৭৩৭-৮০০।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, পাকিস্তানের বহু যাত্রী ঢাকা হয়ে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে যাতায়াত করেন। সরাসরি করাচি ফ্লাইট চালু হলে তাদের সময় ও খরচ দুটোই উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিবেচনায় এ রুট পুনরায় চালু হওয়া আঞ্চলিক সংযোগে বড় সুযোগ তৈরি করবে। বিশেষ করে বাণিজ্য, পর্যটন ও শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পাকিস্তান–বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন করে আলোচনায় আসে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দুই দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়ছে। ইতোমধ্যে করাচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও জানিয়েছে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং যেকোনো সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানকে ভিভিআইপি ঘোষণা করে এসএসএফের নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ

১৩ বছর পর ফের চালু হচ্ছে ঢাকা-করাচি ফ্লাইট

আপডেট সময় ০৯:৫৯:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রায় ১৩ বছর বন্ধ থাকার পর আগামী জানুয়ারি থেকে ঢাকা–করাচি–ঢাকা রুটে আবারও সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ হওয়া আকাশপথটি পুনরায় চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। বিমানের আগামী বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হবে।

ঢাকা-করাচি একসময় ব্যবসা, শিক্ষা ও শ্রমবাজারের জন্য একটি লাভজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ রুট ছিল। সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ট্রানজিট নিতে হওয়ায় সময় ও ভাড়া উভয়ই বেড়ে গিয়েছিল। আবার চালু হলে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, যা দুই দেশের বাণিজ্য, শ্রমবাজার, ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ বাড়াতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।

বেবিচক জানায়, যাত্রী চাহিদা, করাচির শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রুটটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক ও পাকিস্তান সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক নাদির শাফি দারের বৈঠকেও ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দু’টি ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। যাত্রী বৃদ্ধি পেলে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে ফ্লাইট চালু করতে সিভিল অ্যাভিয়েশনের পাশাপাশি করাচির জিন্নাহ এয়ারপোর্টের আলাদা অনুমতি প্রয়োজন হওয়ায় সময় কিছুটা বেশি লাগছে। রুটটি পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে বোয়িং ৭৩৭-৮০০।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, পাকিস্তানের বহু যাত্রী ঢাকা হয়ে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে যাতায়াত করেন। সরাসরি করাচি ফ্লাইট চালু হলে তাদের সময় ও খরচ দুটোই উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিবেচনায় এ রুট পুনরায় চালু হওয়া আঞ্চলিক সংযোগে বড় সুযোগ তৈরি করবে। বিশেষ করে বাণিজ্য, পর্যটন ও শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পাকিস্তান–বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন করে আলোচনায় আসে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দুই দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়ছে। ইতোমধ্যে করাচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও জানিয়েছে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং যেকোনো সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।