ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবির জরাজীর্ণ মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়নে কাজ শুরু

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন ও জরুরি চিকিৎসা সেবা জোরদারে প্রায় ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চলমান প্রকল্পের কাজ পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে একটি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স, এক্স-রে মেশিন, ইসিজি মেশিন, এনালাইজার, হাসপাতাল বেডসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল সেন্টারের নিচতলায় নতুন ইমার্জেন্সি ইউনিট স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার সকালে প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিম রেজা, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাকিলা নার্গিস খান, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ তানভীর আলী, TIKA বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলী আরমান এবং ডাকসুর নেতৃবৃন্দ।

প্রকল্পের আওতায় নতুনভাবে সরবরাহ করা হয়েছে—একটি অ্যাম্বুলেন্স, ১০টি এয়ার কন্ডিশনার, এক্স-রে ইউনিট, ইসিজি মেশিন, এনালাইজার, মাইক্রোস্কোপ, হাসপাতাল বেড, আলমিরা, চেয়ার ও ডেস্কসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাকি সংস্কার কাজ অল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে।

এদিকে রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্স মেডিকেল সেন্টারকে একটি RO Water Filter হস্তান্তর করেছে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান নাজমুল করিম প্রধান মেডিকেল অফিসারের হাতে ফিল্টারটি তুলে দেন। প্রতি ঘণ্টায় ২০০ জিপিডি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে সক্ষম এই ফিল্টার সেবাগ্রহীতাদের জন্য বড় সহায়ক হবে।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আধুনিক সরঞ্জাম, নতুন অ্যাম্বুলেন্স ও ইমার্জেন্সি ইউনিট যুক্ত হওয়ায় মেডিকেল সেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য তিনি TIKA ও রোটারি ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

এনসিপির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ

ঢাবির জরাজীর্ণ মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়নে কাজ শুরু

আপডেট সময় ০৯:০৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন ও জরুরি চিকিৎসা সেবা জোরদারে প্রায় ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চলমান প্রকল্পের কাজ পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে একটি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স, এক্স-রে মেশিন, ইসিজি মেশিন, এনালাইজার, হাসপাতাল বেডসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল সেন্টারের নিচতলায় নতুন ইমার্জেন্সি ইউনিট স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার সকালে প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিম রেজা, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাকিলা নার্গিস খান, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ তানভীর আলী, TIKA বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলী আরমান এবং ডাকসুর নেতৃবৃন্দ।

প্রকল্পের আওতায় নতুনভাবে সরবরাহ করা হয়েছে—একটি অ্যাম্বুলেন্স, ১০টি এয়ার কন্ডিশনার, এক্স-রে ইউনিট, ইসিজি মেশিন, এনালাইজার, মাইক্রোস্কোপ, হাসপাতাল বেড, আলমিরা, চেয়ার ও ডেস্কসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাকি সংস্কার কাজ অল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে।

এদিকে রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্স মেডিকেল সেন্টারকে একটি RO Water Filter হস্তান্তর করেছে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান নাজমুল করিম প্রধান মেডিকেল অফিসারের হাতে ফিল্টারটি তুলে দেন। প্রতি ঘণ্টায় ২০০ জিপিডি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে সক্ষম এই ফিল্টার সেবাগ্রহীতাদের জন্য বড় সহায়ক হবে।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আধুনিক সরঞ্জাম, নতুন অ্যাম্বুলেন্স ও ইমার্জেন্সি ইউনিট যুক্ত হওয়ায় মেডিকেল সেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য তিনি TIKA ও রোটারি ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।