ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোট অনিশ্চিত, ৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করছে এনসিপি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী তালিকা তৈরি হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আর এনসিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদের সম্ভাব্য নির্বাচনী জোট অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

গত ৬ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে এনসিপি। এরপরও অনেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। সব মিলিয়ে ৩০০ আসনের জন্য দেড় হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। অনলাইন–অফলাইন মিলিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অধিকাংশের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে এনসিপি।

এখন এনসিপি প্রার্থীদের মাঠের পরিস্থিতি যাচাই–বাছাই করছে। এটি শেষ হলে দলের রাজনৈতিক পর্ষদ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে।

জানতে চাইলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই তালিকা প্রকাশিত হতে পারে। তবে ৩০০ আসনের তালিকা কয়েক ধাপে প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে এনসিপি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনী জোটের আলোচনা সম্প্রতি সামনে আসে। গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এই জোটের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত এনসিপি, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন—এই চার দলের নেতারা ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে আলোচনায় বসেন।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের একাংশের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশকে (ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ) এই জোটে রাখার প্রশ্নে এনসিপির নেতারা তীব্র আপত্তি তোলেন। আর গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই জোটে আসা নিয়ে মতভেদ ছিল। এসব কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই দিনের বৈঠকটি শেষ হয়।

এরপর এই দলগুলোর নেতারা আর আলোচনায় বসেননি বলে জানিয়েছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, এনসিপি এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতিও রাখছে।

একটি দলের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই জোট গঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জোটটি আলোর মুখ না দেখার সম্ভাবনা বেশি।

জনপ্রিয় সংবাদ

চলতি অর্থবছরের রাজস্ব ঘাটতি ২৪ হাজার কোটি টাকা

জোট অনিশ্চিত, ৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করছে এনসিপি

আপডেট সময় ১২:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী তালিকা তৈরি হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আর এনসিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদের সম্ভাব্য নির্বাচনী জোট অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

গত ৬ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে এনসিপি। এরপরও অনেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। সব মিলিয়ে ৩০০ আসনের জন্য দেড় হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। অনলাইন–অফলাইন মিলিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অধিকাংশের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে এনসিপি।

এখন এনসিপি প্রার্থীদের মাঠের পরিস্থিতি যাচাই–বাছাই করছে। এটি শেষ হলে দলের রাজনৈতিক পর্ষদ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে।

জানতে চাইলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই তালিকা প্রকাশিত হতে পারে। তবে ৩০০ আসনের তালিকা কয়েক ধাপে প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে এনসিপি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনী জোটের আলোচনা সম্প্রতি সামনে আসে। গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এই জোটের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত এনসিপি, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন—এই চার দলের নেতারা ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে আলোচনায় বসেন।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের একাংশের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশকে (ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ) এই জোটে রাখার প্রশ্নে এনসিপির নেতারা তীব্র আপত্তি তোলেন। আর গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই জোটে আসা নিয়ে মতভেদ ছিল। এসব কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই দিনের বৈঠকটি শেষ হয়।

এরপর এই দলগুলোর নেতারা আর আলোচনায় বসেননি বলে জানিয়েছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, এনসিপি এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতিও রাখছে।

একটি দলের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই জোট গঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জোটটি আলোর মুখ না দেখার সম্ভাবনা বেশি।